লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলার নয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও একটি বেসরকারি পাঠাগারে প্রথম আলো ট্রাস্ট ও বিকাশের উদ্যোগে সাড়ে চার হাজার বই উপহার দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় লালমনিরহাট শহরের বার্ন হাডট্ বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড স্কুল মিলনায়তনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে উপহারের বইগুলো হস্তান্তর করা হয়।
উপহারের বই পাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হলো লালমনিরহাট সদর উপজেলার পশ্চিম বড়ুয়া রোটারি উচ্চবিদ্যালয়, পশ্চিম বড়ুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আদিতমারীর নামুড়ি উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ, আদিতমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কালীগঞ্জের নদী ও জীবন নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কাশীরাম গফুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাটগ্রামের বাউরা আরাফা খাতুন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, বুড়িমারী হাসর উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় ও পাটগ্রাম বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ ছাড়া হাতীবান্ধার লিডার্স ক্লাব পাঠাগারকে বই দেওয়া হয়।
প্রথম আলোর লালমনিরহাট বন্ধুসভা এই উপহারের বই বিতরণ কার্যক্রমে সহায়তা করে। আয়োজক সূত্রে জানা যায়, বিকাশ সারা দেশে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি পাঠাগারসহ বৃদ্ধাশ্রমে বই উপহার দিচ্ছে। বিকাশের এ উদ্যোগের সঙ্গে সহযোগী হিসেবে কাজ করছে প্রথম আলো ট্রাস্ট। বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে আগ্রহীরা চাইলে বই কিনতে প্রথম আলো ট্রাস্টকে টাকা পাঠাতে পারবেন।
এদিকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পাঠাগার ও বৃদ্ধাশ্রমে ৭২ হাজার বিভিন্ন ধরনের বই বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০২৩ সালে ৭৫ হাজার বই বিতরণ করা হবে।
বই বিতরণ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর লালমনিরহাট প্রতিনিধি আবদুর রব। প্রথম আলোর লালমনিরহাট বন্ধুসভার সহসভাপতি ফারাহ নাজ নাহারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বীর প্রতীক ক্যাপ্টেন (অব.) আজিজুল হক, জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক শিক্ষা পদকপ্রাপ্ত ফেরদৌসী বেগম, লালমনিরহাটের সচেতন নাগরিক কমিটির (টিআইবি) সাবেক সভাপতি কবি স্বপ্না জামান, নারী সংগঠক তাবাসসুম রায়হান মুসতাযীর, লালমনিরহাট উন্নয়ন আন্দোলন পরিষদের আহ্বায়ক সুপেন্দ্র নাথ দত্ত, বিশিষ্ট নাট্যজন শৌর্য দীপ্ত সূর্য প্রমুখ।
বই পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি পাঠাগারের পক্ষ থেকে প্রথম আলো ট্রাস্ট ও বিকাশের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে। বক্তব্য দেন পাটগ্রামের বুড়িমারী হাসর উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলার পশ্চিম বড়ুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতা রানী ও হাতীবান্ধার লিডার্স ক্লাব পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা সোহেল চৌধুরী এবং কালীগঞ্জের পশ্চিম কাশিরাম গফুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুনিরা সুলতানা।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, যত রকমের উপহার রয়েছে তার মধ্যে বই এবং ফুলের গুরুত্ব ও গ্রহণযোগ্যতা সবচেয়ে বেশি। ফুল মানুষের মনকে প্রফুল্লতা দেয় আর বই পাঠে মানুষের সচেতনতা বাড়ে, মানবিকতার বিকাশ ঘটে। সুশিক্ষিত সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের জন্য পাঠাভ্যাসের দরকার রয়েছে। আর এ জন্য গঠনমূলক সব ধরনের বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই।