শরীয়তপুরে সাঈদীর মৃত্যুতে শোক জানানো ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার

ছাত্রলীগের লোগো
ছাত্রলীগের লোগো

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার নলমুড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সরকারি শামসুর রহমান কলেজ শাখা ছাত্রলীগের উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাকিল খানকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য গতকাল বুধবার কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর ছাত্রলীগ নেতা শাকিল খান ফেসবুকে নানা ধরনের পোস্ট দেন। এরপর গত রোববার তিনি ফেসবুকে পোস্ট করেন, ‘যে দলে কোনো মানুষের মৃত্যুতে শোক জানালে বহিষ্কার হতে হয়, সে দল মুসলমানের দল হতে পারে না।’ এ পোস্ট স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাদের নজরে এলে বুধবার সন্ধ্যায় শাকিল খানকে ছাত্রলীগের দুটি কমিটির পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

গোসাইরহাট উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দেওয়ান আজমল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুতে শোক জানানো এবং তাঁর পক্ষে সাফাই গাওয়া ছাত্রলীগের আদর্শের সঙ্গে যায় না। দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

জানতে চাইলে শাকিল খান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে আমি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ভক্ত। তাঁকে প্রচণ্ড ভালোবাসি। এ কারণে তাঁর মৃত্যুর পর ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছি। এটা দলের কেউ ভালো চোখে দেখেননি, তাই বহিষ্কার করেছেন।’

জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মহসিন মাদবর প্রথম আলোকে বলেন, সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়া ও সাম্প্রদায়িক আচরণ ছাত্রলীগের নীতি ও আদর্শের পরিপন্থী কার্যকলাপ। তারপরও গোসাইরহাটের এক নেতা এমনটা করেছেন। তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।