যশোরের ভবদহ জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানে ১০ দফা দাবি আজ রোববার বিকেলে উপজেলার কপালিয়া রাজবংশীপাড়া মন্দির মাঠে গণজমায়েত করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা
যশোরের ভবদহ জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানে ১০ দফা দাবি আজ রোববার বিকেলে উপজেলার কপালিয়া রাজবংশীপাড়া মন্দির মাঠে গণজমায়েত করেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা

যশোরে ১০ দফা দাবিতে ভবদহ অভিমুখে বিএনপির লংমার্চ ও গণজমায়েত

যশোরের ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতার সমস্যার স্থায়ী সমাধানে ১০ দফা দাবি জানিয়েছে বিএনপি। আজ রোববার মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে ভবদহ অভিমুখে লংমার্চ ও গণজমায়েত কর্মসূচি করা হয়।

আজ দুপুর থেকে শত শত নেতা-কর্মী লংমার্চে যোগ দিয়ে হেঁটে মনিরামপুর বাজার থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে ভবদহ স্লুইসগেটের সামনে আসেন। এরপর বিকেলে উপজেলার কপালিয়া রাজবংশীপাড়া মন্দির মাঠে গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হয়।

মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদ ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে গণজমায়েতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম (অমিত)। কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেরুল হক, সদস্য মোহাম্মদ মুছা, কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ, মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

১০ দফা দাবির মধ্যে আছে আমডাঙ্গা খাল খননের মাধ্যমে প্রশস্ত করা; ভবদহে পাওয়ার পাম্পের সংখ্যা বাড়িয়ে দ্রুত পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা, নিয়মিত ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে হরি নদীর নাব্যতা সৃষ্টি করা, মনিরামপুর, কেশবপুর ও অভয়নগরের প্লাবিত এলাকাগুলো দুর্গত ঘোষণা করে পর্যাপ্ত খাদ্যসহায়তা দেওয়া, দ্রুত পানিনিষ্কাশন করে বাড়িঘরে বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদানের ব্যবস্থা করা, ক্ষতিগ্রস্ত মাছচাষিসহ সব কৃষককে ভর্তুকি দেওয়া, প্লাবিত এলাকায় বিনা মূল্যে ওষুধ সরবরাহ করে চিকিৎসাব্যবস্থা চালু করা, প্লাবিত এলাকার সব কৃষককে বিনা মূল্যে সার, বীজ ও কীটনাশক দেওয়া, ভবদহের দুর্গত এলাকায় বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) কিস্তি আদায় বন্ধ রাখা ও ব্যাংকঋণের সুদ মওকুফ করা এবং পানিবন্দী এলাকায় পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ খাবার পানি ও অস্থায়ী শৌচাগারের ব্যবস্থা করা।

গণজমায়েতে অনিন্দ্য ইসলাম বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের দুঃশাসনামলে জনগণের ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়নি। এ কারণে তাঁরা ক্ষমতায় থেকে জনগণের কল্যাণ করেননি। উন্নয়নের নামে কোটি কোটি টাকার প্রকল্প নিয়ে জনগণের জন্য কাজ না করে লুটপাট করে নিজেদের পকেট ভরেছেন। বিগত সরকারের আমলে ভবদহের মানুষের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। কিন্তু এখানকার মানুষ জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পায়নি।

অনিন্দ্য ইসলাম বলেন, বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভবদহ নিয়ে আর কোনো লুটপাট ঘটবে না। যদি কেউ করার চেষ্টা করে, বিএনপি কঠোরহস্তে প্রতিহত করবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। তিনি ভবদহের মানুষের কষ্টের কথা শুনেছেন। দেশে ফিরে অনুকূল সময়ে তিনি সরেজমিনে ভবদহ ঘুরে সমস্যার স্থায়ী সমাধান দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।