মুন্সিগঞ্জ-৩ (মুন্সিগঞ্জ সদর-গজারিয়া) আসনে এবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া মৃণাল কান্তি দাসের অনুসারীরা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে আনন্দমিছিল ও সভা করেছেন। সোমবার বিকেলে মৃণাল কান্তি দাসের উপস্থিতিতে মুন্সিগঞ্জ শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিকেলে ঢাকা থেকে মুন্সিগঞ্জে আসেন মৃণাল কান্তি দাস। তাঁর আসার খবরে দুপুরে আগে থেকেই জেলা শহরের নেতা-কর্মী, সমর্থকেরা পথে পথে ফুলের মালা, ফুলের নৌকা নিয়ে জড়ো হন। বিকেলে সংসদ সদস্য মুন্সিগঞ্জ সদর এলাকায় প্রবেশ করেন।
এ সময় সিপাহীপাড়া এলাকার প্রধান সড়ক হয়ে একটি মোটর শোডাউন করেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। বিকেল পাঁচটায় মৃণাল কান্তি শহরে সুপার মার্কেট গোলচত্বর এলাকায় আসেন। এ সময় ‘নৌকা নৌকা, মৃণালদার নৌকা’ বলে মিছিল নিয়ে শত শত নেতা-কর্মীরা সুপার মার্কেট এলাকায় জড়ো হন। এতে মুন্সিগঞ্জ শহরের থানা সড়ক, হাসপাতাল সড়ক ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয় সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন জানান, সুপার মার্কেট এলাকায় জনসমাবেশে মৃণাল কান্তি দাস নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। এ সময় ওই এলাকায় প্রায় এক ঘণ্টা স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করতে পারেনি। সড়ক দিয়ে হেঁটে যাওয়াও কঠিন হয়ে পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
নির্বাচন কমিশনের জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচরণবিধিমালার ৬-এর (ঘ)৬ ধারায় উল্লেখ করা আছে, জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়, এমন কোনো সড়কে জনসভা কিংবা পথসভা করা যাবে না। তাঁদের (রাজনৈতিক দল ও মনোনীত প্রার্থী) পক্ষে কোনো ব্যক্তিও অনুরূপ জনসভা ও পথসভা করতে পারবেন না।
এ বিষয়ে মৃণাল কান্তি বলেন, ‘ঢাকা থেকে যখন মুন্সিগঞ্জে আসছিলাম, নেতা-কর্মীরা আমাকে পথে পথে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। সুপার মার্কেট এলাকায় এলে শত শত নেতা-কর্মী জড়ো হন। এ সময় সেখানে উপস্থিত হয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি বজায় রাখার বিষয়ে দুই মিনিট কথা বলেছি। নির্বাচন নিয়ে মানুষের অনেক আবেগ। আমি কতটুকু তাঁদের আবেগ রাখতে পারি। পরে সবাইকে বুঝিয়ে যাঁর যাঁর এলাকায় পাঠিয়েছি।’
বিষয়টি নজরে আনা হলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. বশির আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘মিছিল, শোভাযাত্রা বা সভা কোনোটিই করা যাবে না। কেউ এমনটা করে থাকলে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’