পিরোজপুর সদর উপজেলায় হাত–পা বাঁধা অবস্থায় এক কৃষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার কাথুলিয়া গ্রামের একটি বসতঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
লাশ উদ্ধার হওয়া কৃষকের নাম তপন কুমার হালদার (৫৫)। তিনি কাথুলিয়া গ্রামের মৃত সতীন্দ্রনাথ হালদারের ছেলে। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা।
তপনের স্ত্রী শ্রীপলা বলেন, তাঁরা ধারণা করছেন, হাত-পা বেঁধে তাঁর স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এ ঘটনার বিচার চান।
স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে তপন বাড়িতে একা ছিলেন। তাঁর স্ত্রী শ্রীপলা ছিলেন বরিশালে এক স্বজনের বাড়িতে। গতকাল সকাল থেকে পরিবারের সদস্যরা মুঠোফোনে তপনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাননি। দুপুরে শ্রীপলার ফোন পেয়ে প্রতিবেশীরা তাঁর ঘরে গিয়ে হাত–পা বাঁধা অবস্থায় তপনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে পুলিশ রাতে এসে লাশটি উদ্ধার করে।
সদর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য উজ্জ্বল হাওলাদার বলেন, তপনের হাত ও পা বাঁধা অবস্থায় লাশ ঘরের চৌকির ওপর পাওয়া গেছে।
পিরোজপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জুলফিকার বলেন, নিহত তপনের লাশ আজ শুক্রবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জেরে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন।