ছোট্ট রোমিওর শয্যার পাশে এভাবেই ঠায় বসেছিলেন তার ঠাকুরমা মিলন্তী ত্রিপুরা। তবু বাঁচানো গেল না তাকে। গতকাল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি ওযার্ডে।
ছোট্ট রোমিওর শয্যার পাশে এভাবেই ঠায় বসেছিলেন তার ঠাকুরমা মিলন্তী ত্রিপুরা। তবু বাঁচানো গেল না তাকে। গতকাল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি ওযার্ডে।

তিন মাস লড়াই করে হার মানল সাজেকের গুলিবিদ্ধ শিশু রোমিও

প্রায় তিন মাস লড়াই করে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে গুলিবিদ্ধ শিশু রোমিও (৭) অবশেষে হার মানল। গতকাল সোমবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চট্টগ্রামে মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয় তাকে। সে সাজেক ইউনিয়নের তুইছুই মৌজার মারলংপাড়ার থবেন ত্রিপুরার ছেলে।

উল্লেখ্য, গত ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সাজেক ইউনিয়নের দুর্গম মারলংপাড়ায় আঞ্চলিক সংগঠন জনসংহতি সমিতি (জেএসএ) ও ইউনাইটেড পিপল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। এ সময় ৭ বছরের শিশু রোমিও ত্রিপুরা গুলিবিদ্ধ হয়। তার পেটে গুলি লাগে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাঁচ ঘণ্টা হেঁটে ও নয় ঘণ্টা বাসে চড়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ২ মাস ২৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা গেল শিশুটি।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ভর্তির পর প্রথম দফা অস্ত্রোপচারের পর ভালো ছিল রোমিও। গত শনিবার হঠাৎ অবস্থা অবনতি হলে রোববার আবার অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর রোমিও ত্রিপুরার অবস্থা আরও বেশি খারাপ হয়ে যায়। এরপর গতকাল দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রোমিও ত্রিপুরা মারা যায়।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও পাশের মৌজার হেডম্যান জৈপুই থাং ত্রিপুরা প্রথম আলোকে বলেন, রোমিও বাবা একজন গরিব জুম চাষি। তাঁর পক্ষে দীর্ঘদিন ছেলের চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য ছিল না। তারপরও বিভিন্ন ব্যক্তির সহযোগিতায় এত দিন চিকিৎসার খরচ চালিয়েছেন। দ্বিতীয় দফা অপারেশনের পর আইসিইউ না পেয়ে রোমিও মারা গেছে বলে তিনি শুনেছেন। চট্টগ্রাম থেকে লাশ নিয়ে পরিবারের সদস্য পথে আছে বলে তিনি জানান।