আগামী শনিবার ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশে যোগ দিতে বগুড়া থেকে দলের নেতা-কর্মীরা রওনা হয়েছেন। দলের নেতারা জানিয়েছেন, বগুড়া থেকে এই কর্মসূচিতে ১০ হাজার নেতা-কর্মী যোগ দেবেন। আজ বুধবার দুপুরের মধ্যে অন্তত আড়াই হাজার নেতা-কর্মী ঢাকায় পৌঁছেছেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যে অন্যরা ঢাকায় পৌঁছাবেন।
মহাসমাবেশ সামনে রেখে দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ করে দেওয়াসহ সরকারের পক্ষ থেকে যেকোনো ধরনের বাধা ও প্রতিবন্ধকতা এড়াতে আগেভাগেই বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঢাকায় যাচ্ছেন।
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৮ অক্টোবর এক সম্মেলনে ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন। এই কর্মসূচিতে প্রতিটি জেলা ও উপজেলা থেকে দলটির কর্মী-সমর্থকেরা যোগ দেবেন।
ঢাকায় মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে গঠিত বগুড়া জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে গঠিত কমিটির দলনেতা এবং দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, সরকার পতনের চূড়ান্ত ডাকে সাড়া দিয়ে বগুড়া থেকে ঢাকায় মহাসমাবেশ সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলা বিএনপির ১২টি উপজেলার ২৪টি সাংগঠনিক ইউনিট থেকে অন্তত ৫০০ নেতা-কর্মীসহ সহযোগী ও অঙ্গসংগঠন মিলিয়ে ১০ হাজার নেতা-কর্মী ঢাকায় যাবেন।
হেলালুজ্জামান তালুকদার আরও বলেন, মহাসমাবেশ সামনে রেখে গায়েবি মামলায় ধরপাকড়, গণগ্রেপ্তার, যানবাহন বন্ধ করে দেওয়া, হোটেল-মোটেলে পুলিশের অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা জারিসহ অতীতের মতো সরকার যেকোনো ধরনের কূটকৌশল অবলম্বন করতে পারে। এ জন্য ২৬ অক্টোবরের মধ্যেই খণ্ড খণ্ড দলে বিভক্ত হয়ে ঢাকায় পৌঁছানোর জন্য নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরের মধ্যে ২৫ শতাংশ নেতা-কর্মী ঢাকায় পৌঁছেছেন। অবশিষ্ট নেতা-কর্মী আজ এবং আগামীকালের মধ্যে ঢাকায় পৌঁছাবেন। মহাসমাবেশের এক দিন আগে তাঁরা ঢাকায় অবস্থান করবেন।
মহাসমাবেশ সফল করতে গত শনিবার বগুড়া জেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সভা হয়। এতে সাত সদস্যের লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও বগুড়া পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার, সিনিয়র সহসভাপতি আহসানুল তৈয়ব জাকির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুন্নবী সালাম ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাজীব আহম্মেদ।
জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বলেন, দলীয় কৌশলের অংশ হিসেবে শুক্রবার ভোরের মধ্যে বগুড়া থেকে ১০ হাজার নেতা-কর্মী ঢাকায় পৌঁছাবেন। আর যানবাহন বন্ধ না করে দিলে অন্তত ৩০ হাজার নেতা-কর্মী মহাসমাবেশর কর্মসূচিতে যোগ দেবেন।