রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় পুকুরে গোসলে নেমে নিখোঁজের পাঁচ ঘণ্টা পর অবসরপ্রাপ্ত একজন প্রধান শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে গোয়ালন্দ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিপেন রায়পাড়ার একটি পুকুর থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
মৃত ব্যক্তির নাম অমূল্য প্রসন্ন রায় (৭৩)। তিনি গোয়ালন্দ নাজির উদ্দিন পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয় ও গোয়ালন্দ শহীদ স্মৃতি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গণিতের জনপ্রিয় শিক্ষক অমূল্য প্রসন্ন রায় নাজির উদ্দিন পাইলট সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের জমিদাতা ছিলেন। ২০০৯ সালে গোয়ালন্দ শহীদ স্মৃতি সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবসর নেন। তাঁর স্ত্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৃপ্তি রানী রায় প্রায় ৯ বছর আগে মারা যান। তাঁর দুই সন্তান কর্মসূত্রে জেলার বাইরে থাকেন। বাড়িতে একাই থাকতেন অমূল্য।
স্থানীয় লোকজন বলেন, বয়সের ভারে অসুস্থ হলেও প্রতিদিন বিকেলে বাড়ির কাছে একটি পুকুরে গোসল করতেন তিনি। গতকাল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তিনি পিঁড়ি ও মগ নিয়ে গোসল করতে যান। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেও বাড়ি ফিরে না আসায় সবাই খোঁজ করতে থাকেন। পুকুরপাড়ে গিয়ে তাঁর পায়ের স্যান্ডেল, কাঠের পিঁড়ি ও মগ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয় লোকজন গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিসের লোকজনকে খবর দেন। রাত আটটার পর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে পুকুরে খোঁজ করতে থাকেন। ৯টার দিকে পুকুর থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
খবর পেয়ে রাতেই গ্রামের বাড়িতে আসেন অমূল্য প্রসন্ন রায়ের ছেলে কিশোর কুমার রায়। আজ বুধবার সকালে তিনি বলেন, বাবা গ্রামের বাড়ি ছেড়ে কোথাও যাবেন না বলে বাড়িতে একাই থাকতেন। পাশে ছোট কাকা বিমল কুমার রায় পরিবারসহ থাকেন। বাবা অনেক দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন বলে তিনি জানান।