২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে খুলনার কয়রা উপজেলায় দলটির নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ অভিযান চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি নেতারা। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে কয়রা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল আলমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কয়রা উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব নুরুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, মহাসমাবেশ সামনে রেখে নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গতকাল রাতভর অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। বিএনপি নেতা শরিফুলকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে। এ ছাড়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মহরম হোসেন, উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব মো. মোতাসিম বিল্লাহ, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন ও নির্বাহী সদস্য সবুজ হোসেনের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে।
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিএনপি নেতা শরিফুলকে পাইকগাছা থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ রুটিন ওয়ার্ক অনুযায়ী কাজ করছে। কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সে ব্যাপারে পুলিশ সচেষ্ট আছে। অযথা কাউকে হয়রানি বা গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।’
উপজেলা বিএনপির নেতারা জানিয়েছেন, আটক ও গ্রেপ্তার এড়াতে বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন। ঢাকায় মহাসমাবেশের আগে পুলিশের ধরপাকড় ও বাধা দেওয়ার আশঙ্কায় অনেক নেতা-কর্মী আগেই ঢাকায় পৌঁছে গেছেন।
উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব মো. মোতাসিম বিল্লাহ বলেন, ‘আমার বাড়িতে নারী ও শিশুরা আছে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ সদস্যরা বাড়িতে গিয়ে আমার খোঁজ নেন। এতে স্ত্রীসহ আমার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। আমি আত্মগোপনে থাকায় পুলিশ আমাকে খুঁজে পায়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ আমার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যুবদলের আহ্বায়ক শরিফুল আলমের বাড়িতে যায়। সেখান থেকে তাঁকে থানায় নিয়ে যায়।’
২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কয়রা উপজেলা বিএনপি, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটির পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নুরুল আমিন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, পুলিশ রাতভর নেতা-কর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তবে নেতা-কর্মীরা যেকোনো মূল্যে ঢাকার সমাবেশে অংশ নেবেন। সেই লক্ষ্যে তাঁরা সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন।