সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে মঙ্গল শোভাযাত্রা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শাহ আজমের নেতৃত্বে শোভাযাত্রায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। তাঁরা সুখী ও অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
‘অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-১-এর সামনে থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে ঢোলের তালে আনন্দে মেতে ওঠেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। অনেকে গরুর গাড়িতে চড়ে, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার নিয়ে শোভাযাত্রায় শামিল হন। ‘এসো হে বৈশাখ’, ‘তাকদুম-তাকদুম বাজে বাংলাদেশের ঢোল’—এমন সব গানে কণ্ঠ মেলান শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
শোভাযাত্রাটি কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি প্রাঙ্গণে যায়। সেখানে উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানে উপাচার্য শাহ আজম বলেন, ইউনেসকো মঙ্গল শোভাযাত্রাকে মূল্যায়ন করেছে অন্যায় ও অকল্যাণের বিরুদ্ধে সত্য, ন্যায় ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের মানুষের সাহসী সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে। ধর্ম-বর্ণ-জাতি-লিঙ্গনির্বিশেষে দেশের সব মানুষের একই চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণের বিষয়টিও ইউনেসকোর এ স্বীকৃতি লাভের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা রেখেছে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এ আহ্বানে উজ্জীবিত হয়ে সুখী ও অসাম্প্রদায়িক দেশ গঠনে এগিয়ে যাবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফখরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ ফিরোজ আহমেদ ও বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।