স্থানীয় পাইকারি ও খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দিনাজপুরের বিরামপুরে কাঁচা মরিচের দাম গতকাল সোমবার ১২০ টাকা থেকে কমে ৮০ টাকায় নেমেছিল। আজ মঙ্গলবার আবার দাম বেড়ে মানভেদে ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত বিরামপুর পৌর শহরের নতুনবাজার এলাকায় সবজির পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে দাম কমতে থাকে। সর্বশেষ সকাল ১০টার দিকে পাইকারি বাজারে ৮০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে। সরবরাহ কমায় আজ দাম কিছুটা বেড়ে ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত সপ্তাহে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। বাজারে হঠাৎ কাঁচা মরিচের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দামে ভাটা পড়ে। ফলে অনেককে লোকসানে কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে হয়েছে। উপজেলার স্থানীয় খুচরা বাজারগুলোতে প্রকারভেদে কাঁচা মরিচ ১১০ থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
এদিকে পৌর শহরের বাজারগুলোর তুলনায় ইউনিয়ন পর্যায়ের বাজারগুলোতে কাঁচা মরিচ কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কৃষকেরা তাঁদের জমি থেকে সংগ্রহ করা কাঁচা মরিচ সরাসরি গ্রামীণ হাটবাজারগুলোতে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে তুলনামূলক কম দামে বিক্রি করছেন। খুচরা বিক্রেতারাও কম দামে ক্রেতাদের কাছে কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন।
উপজেলার কাটলা বাজারে সবজির খুচরা ব্যবসায়ী সাহাবুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এলাকার জমিতে গ্রামের কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি কম দামে কেনার কারণে খুব সীমিত লাভ রেখে এ দামে বিক্রি করছি।’
বিরামপুর নতুনবাজারে কাঁচা মরিচের পাইকারি ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার সকাল ৭টার দিকে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ পাইকারি ১০০ টাকায় বিক্রি করেছেন। পরে বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় সকাল ৯টার দিকে ৯০ টাকা ও সকাল ১০টার দিকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন। এসব কাঁচা মরিচ নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর পাইকারি বাজার থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে কেনা ছিল। বাজারে আজ সরবরাহ বেশি হওয়ায় এবং মজুত রাখলে পচে যাওয়ার আশঙ্কা থাকায় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা লোকসানে বিক্রি করতে হয়েছে।