ভাইয়ের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। সেই বিরোধের জেরে ভাইকে ফাঁসাতে গিয়ে হারুন অর রশিদ (৫০) নিজের স্ত্রীকে হত্যা করেছেন। ১৫ অক্টোবর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ঝাউডগি গ্রামে গৃহবধূ জেসমিন আক্তার(৩৫) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের পর আজ সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশ এমন তথ্য জানায়।
এ ঘটনায় ১৯ অক্টোবর পুলিশ জেসমিনের স্বামী হারুন অর রশিদকে পুলিশ গ্রেপ্তার। গতকাল রোববার বিকালে হারুনু ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আদালতে। পরে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে হত্যাকাণ্ডের দিন গৃহবধূ জেসমিনের দেবর মো. হিরণকে(৪৫) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছিল স্থানীয় লোকজন। কিন্তু হিরণকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জেসমিনের স্বামী হারুনকে পুলিশের সন্দেহ হয়। গ্রেপ্তারের পর হারুন পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন।
হারুন অর রশিদ সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের ঝাউডগি গ্রামের নুর মোহাম্মদ ডাক্তার বাড়ির মৃত হানিফ মোল্লার ছেলে। তিনি পেশায় ইটভাটার শ্রমিক ছিলেন।
পুলিশ সুপারের আখতার হোসেনের স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হারুনের সঙ্গে তাঁর ভাই হিরনের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। আসামি হারুন তার ভাই মো. হিরনকে ফাঁসাতে হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছেন। তিনি নিজে তার স্ত্রীর মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করেন।
পুলিশ জানায়, ১৫ অক্টোবর রাতে খাওয়া শেষে তার পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। ওই রাতে পাশের বাড়ির বিয়ের সাজসজ্জা দেখতে যাওয়ার কথা বলে স্ত্রী জেসমিনকে নিয়ে বের হন হারুন। একপর্যায়ে দা দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করেন তিনি।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কায়সার হামিদ বলেন, ঘটনার পর হিরনকে আটক করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্য ও প্রাথমিক তদন্তের পর তাঁর ভাই হারুন অর রশিদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।