রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে করিম
রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য ফজলে করিম

অস্ত্র মামলায় সাবেক এমপি ফজলে করিমের রিমান্ড মঞ্জুর

নিজ বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধারের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সহিদুল ইসলাম শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেলা কোর্ট পরিদর্শক জাকের হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, অস্ত্র মামলায় ফজলে করিম চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ফজলে করিমকে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশ জানায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর ফজলে করিম চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি রাউজানের গহিরায় আলমারিতে থাকা ১টি পয়েন্ট ২২ বোরের রাইফেল, ১টি এলজি, ১টি রিভলবার, ১টি শটগান ও ৭টি গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া এসব অস্ত্রের মধ্যে শুধু রাইফেলের লাইসেন্স ছিল, বাকি অস্ত্র অবৈধ। সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে বৈধ অস্ত্র জমা না দেওয়ায় সেটিও অবৈধ হয়ে যায়। অস্ত্র-গুলি উদ্ধারের ঘটনায় রাউজান থানায় মামলা হয়েছে।

১২ সেপ্টেম্বর সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তের আবদুল্লাহপুর এলাকা থেকে এ বি এম ফজলে করিমসহ তিনজনকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ফজলে করিম আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে বিজিবি জানিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে মামলা হয়েছে ১৪টি।

এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য নিরাপত্তার কারণে ১৯ সেপ্টেম্বর তাঁকে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রামে আনা হয়। পরে ২৪ সেপ্টেম্বর ফজলে করিমকে সকাল সাড়ে সাতটায় আদালতে হাজির করা হয়। গ্রেপ্তার দেখানো হয় পাঁচ মামলায়। একই সঙ্গে রাউজান থানার একটি মামলায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আদালত প্রাঙ্গণে আগে থেকে উপস্থিত বিক্ষুব্ধ জনতা সাবেক সংসদ সদস্যের ফাঁসি দাবি করে স্লোগান দেন ও প্রিজন ভ্যানে ডিম নিক্ষেপ করেন। এরপর ১৭ অক্টোবর ফজলে করিমের বিরুদ্ধে আটটি মামলায় ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে শুনানি হয়। এটির প্রতিবাদে গত ২৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে বিক্ষুব্ধ লোকজন। তাঁরা ভার্চ্যুয়াল শুনানি বাতিল করে সশরীর ফজলে করিমকে আদালত হাজির করার দাবি জানান এবং জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপিও দেন।