রংপুর নগরের শ্যামাসুন্দরী খালে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। ছবিটি নগরের মুন্সিপাড়ার কেরামতিয়া মসজিদ এলাকা থেকে তোলা
রংপুর নগরের শ্যামাসুন্দরী খালে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। ছবিটি নগরের মুন্সিপাড়ার কেরামতিয়া মসজিদ এলাকা থেকে তোলা

রংপুর নগরে শ্যামাসুন্দরী খাল দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান

রংপুর নগরের শ্যামাসুন্দরী খালের জায়গা দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে নগরের কেরামতিয়া মসজিদ এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, রংপুর নগরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত শ্যামাসুন্দরী খালে ১১৭ জন অবৈধ দখলদারকে চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসন। আজ থেকে তাঁদের উচ্ছেদে অভিযান শুরু হয়েছে। খুব শিগগির সব দখলদারকে উচ্ছেদ করা হবে। অভিযানে রংপুর বিভাগীয় প্রশাসন, রংপুর সিটি করপোরেশন, উপজেলা ভূমি কার্যালয় ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহযোগিতা করছে।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, রংপুর নগরে প্রবাহিত শ্যামাসুন্দরী খালটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬ কিলোমিটার। আয়তন প্রায় ৪২ একর। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, খালটি রংপুর সিটি করপোরেশনে কেল্লাবন্দ মৌজার ঘাঘট নদ থেকে উৎপত্তি হয়ে নগরীর রঘুনাথ, ভগী, রাধাবল্লভ, কামালকাছনা, আলমনগর ও মাহিগঞ্জ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মাহিগঞ্জ রেলসেতুর পাশে আবার ঘাঘট নদে মিলিত হয়েছে।

গত ১৭ নভেম্বর শ্যামাসুন্দরী খালের অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ ও দূষণ বন্ধে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আইনি নোটিশ দেয় বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। নোটিশে বলা হয়েছে, ঐতিহ্যবাহী শ্যামাসুন্দরী খাল দখল ও দূষণে অস্তিত্বসংকটে পড়েছে। তাই সিএস জরিপ অনুযায়ী, শ্যামাসুন্দরী খালটির সীমানা নির্ধারণ করে সীমানায় বিদ্যমান দখলদারদের পূর্ণ তালিকা (নাম–ঠিকানাসহ) প্রস্তুত করতে হবে। এরপর খাল দূষণের সব উৎস চিহ্নিত করে দূষণকারীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।