জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ চলার সময় চট্টগ্রাম নগরে আবার একটি ভবন হেলে পড়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা ছয়টার সময় নগরের পশ্চিম শহীদ নগরের তৈয়াবিয়া হাউজিং এলাকায় একটি চারতলা ভবন পাশের ছয়তলা ভবনের ওপর হেলে পড়ে। অবশ্য এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ঝুঁকি এড়াতে এই দুটিসহ পাশের আরও একটি ভবন থেকে সব বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বায়েজিদ বোস্তামী থানা সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে শীতল ঝরনা খালে প্রতিরোধ দেয়ালের নির্মাণকাজ চলছে। এ জন্য খাল খনন করতে হয়েছে। আশপাশের স্থাপনা যাতে হেলে না পড়ে, সে জন্য খালের ভেতরে লোহার পাত দেওয়া হয়েছে। এরপরও খোরশেদ ম্যানশন নামের ভবনটি হেলে পড়েছে।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী মোহাম্মদ তানভীরুল আজম প্রথম আলোকে বলেন, খালের পাশে থাকা খোরশেদ ম্যানশন নামের চারতলা ভবনটি পাশের তাহেরিয়া ম্যানশনের ওপর হেলে পড়ে। হেলে পড়া খোরশেদ ম্যানশনে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। আর তাহেরিয়া ম্যানশন ছয়তলা। এ ছাড়া জমির সাহেবের ভবন নামের দোতলা ভবনও ঝুঁকিতে পড়েছে। তিনটি ভবনের সব বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এসব ভবনে অন্তত ১৫টি পরিবার বসবাস করত।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন বিগ্রেড। ব্রিগেডের লেফটেন্যান্ট কর্নেল ও প্রকল্প পরিচালক মো. শাহ আলী বলেন, শীতল ঝরনার যেখানে ভবনটি হেলে পড়েছে, সেটির পেছনের দেয়াল খালের শূন্য (জিরো) লাইনের ওপর। কাজ শুরুর আগেই ভবনমালিককে জায়গা ছেড়ে (ওয়ার্কিং স্পেস) দেওয়ার জন্য বলেছিলেন। কিন্তু ভবনমালিক রাজি হননি। তিনি লিখিত দিয়েছেন কাজের জন্য জমি ছাড়বেন না। এতে ভবনের কিছু হলে দায়িত্ব তাঁর। এখন নির্মাণকাজের জন্য মাটি কাটার কাজ শুরু হয়েছে। এতেই ভবন হেলে পড়েছে। ভবনটির ভিত্তিও দুর্বল।
ভবনটির মালিক মো. খোরশেদ ঘটনার পর উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, তিনি খালের কাজ শুরুর আগে লিখিত দিয়েছেন। খালের মাটি কাটার কাজ শুরুর পর আজ ভবনটি হেলে পড়েছে।
এর আগে জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ চলার সময় চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি নগরের ষোলোশহরে একটি চারতলা ভবন এবং ২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বর রাতে নগরের মাদারবাড়ি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ চলাকালে খালের পাশের দুটি ভবন, একটি মন্দির ও একটি কাঁচা ঘর হেলে পড়েছিল।