সখীপুর-বাটাজোর সড়ক

বছর না ঘুরতেই ১৩ কোটি টাকার সড়কে খানাখন্দ

কাজের মান ঠিক না থাকায় এক বছর যেতে না যেতেই সড়কটির এই হাল হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সখীপুর-বাটাজোর সড়ক। বছর না ঘুরতেই ১৩ কোটি টাকার সড়কে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গত বুধবার ওই সড়কের বাগবেড় এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

১০ মাস আগে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে টাঙ্গাইলের সখীপুর-বাটাজোর সড়কটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নতুন সড়কটিতে অল্প সময়েই বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট গর্ত তৈরি হচ্ছে। দুই মাসের কম সময়ে ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটিতে ছয়-সাতটি গর্তের সৃষ্টি হয়।

অবশ্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিছু গর্ত ভরাট করেছে। তবে এখনো তিন-চারটি স্থানে গর্ত আছে। কাজের মান ঠিক না থাকায় এক বছর যেতে না যেতেই সড়কটির এই হাল হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সখীপুর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সখীপুর পৌর শহরের মুক্তার ফোয়ারা থেকে ময়মনসিংহের ভালুকার বাটাজোর পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ ও পুনর্নির্মাণ করা হয়। ১৩ কোটি ২৬ লাখ টাকার কাজটি করার দায়িত্ব পায় মেসার্স দাস ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কাজের মেয়াদ ছিল ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত। যথাসময়ে কাজ শেষ হলেও শুরুতেই কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল।

গত বুধবার দুপুরে দেখা যায়, ওই সড়কের বাগবেড় এলাকায় ১০০ গজের ব্যবধানে দুটি স্থানে, হাজীরবাজার এলাকায় একটিসহ পাঁচ-ছয়টি স্থানে গর্ত তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে কালভার্ট বা সেতুর সংযোগ স্থানে দেবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

একটু বৃষ্টি হলেই দেবে যাওয়া স্থানে পানি জমে পরে ছোট ছোট গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। এ সড়কে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, ইজিবাইক, ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন যাতায়াত করে। গর্ত ও দেবে যাওয়া জায়গাগুলোয় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে যানবাহনের চালকদের।

রফিকুল ইসলাম নামের একজন প্রাইভেটকারের চালক বলেন, ওই সড়কে চোখে দেখা কিছু গর্ত ছাড়াও কিছু চোরাই গর্ত রয়েছে। গাড়ি চালানোর সময় খুবই সতর্ক থাকতে হয়।

নতুন রাস্তায় গর্ত কেন—জানতে চাইলে মেসার্স দাস ট্রেডার্স ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কাজ ক্রয় করে নেওয়া বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মির্জা রাজিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘কাজের মান খারাপ হয়নি। আমরা নিয়ম মেনেই কাজ করেছি।

প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় সেতুর দুই পাশে দেবে যাওয়ার কারণে সড়কের দু-একটি স্থানে গর্ত হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে গর্ত ভরাট করেছি। অন্য গর্তগুলোও পর্যায়ক্রমে ভরাট করে দেব।’

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল বাছেদ বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জামানতের টাকা আটকা আছে। সড়কের গর্ত ভরাট করে দেওয়ার জন্য তাদের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা পর্যায়ক্রমে এসব গর্ত ভরাট করে দেবে।’