অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে টেকনাফের দম্পতির বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় মাদকদ্রব্য বিক্রি করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এক দম্পতির বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল মঙ্গলবার কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আকিব রায়হান ও উপসহকারী পরিচালক পার্থ চন্দ্র সাহা বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন।

মামলার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন। মামলার দুই আসামি হলেন—টেকনাফ উপজেলা হ্নীলা ইউনিয়ন পশ্চিম সিকদারপাড়া এলাকার রশিদ আহমদ (৬৬) ও তাঁর স্ত্রী মাহমুদা বেগম (৪৫)।

দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন স্থানীয় ১০২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী। তাঁদের মধ্যে রশিদ আহমদও ছিলেন। এরপরই তাঁর পারিবারিক সম্পদ নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

রশিদের বিরুদ্ধে মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সম্পদ বিবরণীতে রশিদ আহমদ নিজের ৫১ লাখ ৩ হাজার ৫০০ টাকার স্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন। তবে দুদক যাচাই করে তাঁর ৭৯ লাখ ২৪ হাজার ৫০০ টাকার স্থাবর সম্পদ পেয়েছে। সেই হিসাবে তিনি ২৮ লাখ ২১ হাজার টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেছেন।

অপর মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রশিদের স্ত্রী মাহমুদা বেগমের জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে ১ কোটি ৭৭ লাখ ৯০ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ দেখানো হয়েছে। তবে তাঁর সম্পদ পাওয়া গেছে ৩ কোটি ২৩ লাখ ৯৯ হাজার টাকার। তিনি ১ কোটি ৪৬ লাখ ৯ হাজার টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করেছেন। এ ছাড়া আসামি রশিদ আহমদ সম্পদ অর্জনের সপক্ষে বৈধ উৎসসংক্রান্ত কোনো প্রমাণাদি দাখিল করতে পারেননি। আসামি রশিদ আহমদ একজন আত্মস্বীকৃত মাদক কারবারি হিসেবে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন এবং দীর্ঘদিন জেলা কারাগারে আটক ছিলেন।

মামলা দুটি তদন্ত করে অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন।