রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ ছাত্র হাসপাতালে ভর্তি, তাঁদের একজন আইসিইউতে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আহত শিক্ষার্থীদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে
ছবি: প্রথম আলো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সংঘর্ষে ৮৭ শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিচ্ছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৮৭ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪ জনের আঘাত গুরুতর। আর একজন গতকাল শনিবার রাত থেকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য মো. হুমায়ুন কবীর আজ রোববার বলেন, হাসপাতালে ভর্তি ৮৭ শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন আইসিইউতে আছেন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্যদের আজকের মধ্যেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। আঘাতের ধরন সম্পর্কে তিনি বলেন, একজনের চোখে সমস্যা হয়েছে, আরেকজনের মাথায় আঘাত লেগেছে। তাঁরা চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আজ বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দিয়েছেন। রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আবদুল মজিদ বলেন, তাঁরা সকালে হামলার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করবেন। তাঁরা শতভাগ আবাসিক আবাসন নিশ্চিত করা, আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ও চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন এবং এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাবেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আহত ছাত্র এখন রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি আছেন

গতকাল বগুড়া থেকে বাসে রাজশাহী আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আলামিন আকাশ। বাসে আসনে বসাকে কেন্দ্র করে তাঁর সঙ্গে বাসচালক শরিফুল ও চালকের সহকারী রিপনের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর ফটকে পৌঁছালে রিপনের সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীর আবার বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এ সময় স্থানীয় এক দোকানদার এসে ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। এ সময় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে ওই দোকানদারের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জড়ো হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। তখন শিক্ষার্থীরাও তাঁদের পাল্টা ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।

দফায় দফায় এ সংঘর্ষে স্থানীয় লোকজনের হামলায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। শিক্ষার্থীরা বিনোদপুর এলাকায় দোকানে ও পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেন। এ ঘটনায় পুলিশ, র‍্যাবের পাশাপাশি সাত প্লাটুন বিজিবি কাজ করছে।