ঘড়ির কাঁটায় তখন ৪টা ২৭ মিনিট। ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় পাথরবোঝাই একটি ট্রাক রেললাইনের ওপর বিকল হয়ে যায়। ভারতের জলপাইগুড়ি থেকে আসা ঢাকাগামী ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ ট্রেন আসতে মাত্র কয়েক মিনিট বাকি। বিষয়টি মুঠোফোনে বিরামপুর স্টেশনের মাস্টারকে জানানো হয়। কিন্তু ততক্ষণে ট্রেনটি বিরামপুর ত্যাগ করে হিলির উদ্দেশে রওনা দেয়।
কয়েক মিনিটের মধ্যে চলে আসে ট্রেন। এ সময় রেললাইনের গেটকিপার সুজন চন্দ্র দাস বিকল ট্রাকের সামনে দাঁড়িয়ে লাল পতাকা ওড়াতে থাকেন। অদূরে ট্রেনের যাত্রীরা দরজা ও জানালা দিয়ে মাথা বের করে চিৎকার করছেন। বিকেল ৪টা ৩৩ মিনিটে বিকল ট্রাকের সামনে এসে থামে ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি। অল্পের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে যান যাত্রীরা।
আজ রোববার বিকেলে দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে এমন দৃশ্য দেখা যায়। ভারত থেকে পাথরবোঝাই একটি ফিটনেসবিহীন ট্রাক ভারতীয় চেকপোস্ট পার হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় রেললাইনের ওপর বিকল হয়ে গেলে দুই দেশের আমদানি-রপ্তানির ট্রাক চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পাশাপাশি ভারতের জলপাইগুড়ি থেকে আসা ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ ট্রেন দুর্ঘটনার আশঙ্কার মধ্যে পড়ে।
হিলি রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার তপন কুমার চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, ভারত থেকে আসা একটি ট্রাক বিকেলে রেললাইনের ওপর বিকল হয়ে যায়। বিষয়টি মুঠোফোনে বিরামপুর স্টেশনের মাস্টারকে জানানো হলেও ততক্ষণে ট্রেন বিরামপুর ত্যাগ করে। এতে ওই সময়ে ভারত থেকে আসা মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনের দুর্ঘটনার শঙ্কা দেখা দেয়। এ সময় গেটকিপার সুজন চন্দ্র দাস ১ নম্বর সিগন্যাল ডাউনের সামনে বিজিবির সদস্যদের নিয়ে লাল পতাকা উড়িয়ে ট্রেনটি থামান।
তপন কুমার চক্রবর্তী আরও বলেন, ট্রাকটিকে সচল করে পরে রেললাইন থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। ১৭ মিনিট দেরিতে বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে হিলি ছেড়ে যায়। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে ট্রেনের যাত্রীরা বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।