মামলা
মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক মন্ত্রী মোকতাদির ও আনিসুল হকসহ ১০৬ জনের নামে নাশকতার মামলা

সাবেক মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, আনিসুল হক, মোকতাদিরের স্ত্রী অধ্যাপক ফাহিমা খাতুনসহ ১০৬ জনের নামে নাশকতার মামলা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইব্রাহিম আহমেদ বাদী হয়ে সদর থানায় এই মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করা হয়।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর মোকতাদিরের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১২টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সদর থানায় আটটি, সরাইলের দুটি ও আদালতে দুটি মামলা হয়।

মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি তাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (আশুগঞ্জ-সরাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মাইন উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সাবেক পৌর মেয়র হেলাল উদ্দিন, নায়ার কবির, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডিউক চৌধুরী, সাবেক ভিপি হাসান সারোয়ার, জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাবেক সিভিল সার্জন মো. শাহ আলম, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন প্রমুখ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ৪ আগস্ট গভ. মডেল গার্লস হাইস্কুলের সামনে ছাত্রদলের আহ্বায়কের নেতৃত্বে সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরী, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একরামুজ্জামানের নির্দেশে মামলার আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জন আসামি প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে দা, লাঠি, লোহার রড, কিরিজ, পিস্তল, বল্লম, পেট্রল, কেরোসিন, ককটেল, হাতবোমা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলের চতুর্দিকে ঘেরাও করে। মোকতাদিরের নির্দেশে আসামিরা আন্দোলনরত কয়েকজন স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছাত্রীর চুল ধরে রড, বাঁশের লাঠি দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। তারা মুহুর্মুহু ককটেল বিস্ফোরণ করে ঘটনাস্থলে ত্রাস সৃষ্টি করে। এতে ককটেলের আঘাতে ছাত্রদলের আহ্বায়কসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। আসামিরা হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে গুলিও করে। এই আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীসহ পথচারী অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন।

মামলার বাদী ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইব্রাহীম আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের ক্যাডার বাহিনী ছাত্র–জনতাসহ আমাদের মিছিলে হামলা চালায়। এতে আমিসহ অনেকেই আহত হয়েছি।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ছাত্রদলের আহ্বায়ক বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় দুজন সাবেক মন্ত্রী, একাধিক সংসদ সদস্যসহ ১০৬ জনকে আসামি করা হয়।