সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার  আখাউড়া রেলস্টেশনে
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার  আখাউড়া রেলস্টেশনে

সাজাপ্রাপ্ত সবাইকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘আমাদের দেশের আদালতে সাজাপ্রাপ্ত এবং অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ করে যারা সাজাপ্রাপ্ত, তাদের সবাইকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করব। উদ্যোগ নেব। উদ্যোগ যেটা আছে, সেটাকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করব।’ আজ শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলস্টেশনে পৌঁছালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

শ্রম আইন সংশোধন বিল নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এই সংসদের অধিবেশনেই শ্রম আইন পাস করা হবে।

গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায়ে ‘আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে’ বলে ১২ জন মার্কিন সিনেটর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন—এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘আমি যত দূর জানি, এই মামলার কাগজপত্র দেখেছি, সেখান থেকে আমি বলতে পারব, বিচারিক আদালতে সুষ্ঠুভাবে আইনের যে ধারা আছে, সেই ধারা অনুযায়ী বিচার হয়েছে। আমি এর থেকে বেশি কিছু বলব না। তার কারণ হচ্ছে, যিনি সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। তিনি নিশ্চয়ই আপিল করবেন। সেখানে কোনো প্রভাব পড়ুক, সেটা আমি চাই না।’

সরকার পরিকল্পিতভাবে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করছে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এমন মন্তব্যের বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’

পরে বেলা ১১টার দিকে কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে পথসভায় অংশ নেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমি শুনতে পেয়েছি, এখানে কিছু কিছু এলাকায় খেড়ের মুড়িতে (খড়ের স্তূপ) আগুন দেওয়া হচ্ছে। আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আপনারাও সজাগ থাকবেন, যদি এ রকম লোক পান, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে আপনারা পুলিশকে খবর দেবেন। যারা আগুন দেওয়ার চেষ্টা করছে, তাদের আমি জঙ্গল থেকে ধরে এনে আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করব।’

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনিসুল হক বলেন, ‘আপনারা বিশ্ববাসীকে দেখিয়েছেন, আপনারা আমি আনিসুল হককে অনেক ভালোবাসেন। আমি কসবা-আখাউড়াবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ। আমি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আপনাদের পাশে থাকব।’

পথসভায় উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূইয়া, কসবা পৌরসভা মেয়র এম জি হাক্কানী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাজী আজহারুল ইসলাম, রুহুল আমিন ভূইয়া বকুল, কসবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুল আজিজ, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. এমরান উদ্দিন প্রমুখ।

এর পর আইনমন্ত্রী সীমান্তবর্তী শেরে বাংলা উচ্চবিদ্যালয়ে মাঠে জনতার উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন। নিজ নির্বাচনী এলাকা কসবা ও আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজনে গণসংবর্ধনাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুই দিনের সফরে আন্তনগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে করে ঢাকা থেকে আখাউড়া রেলস্টেশনে আসেন আইনমন্ত্রী। সেখানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাঁকে স্বাগত জানান।