নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য ও জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম আফতাবকে পরপর তিনটি গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে মুমূর্ষু অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ রোববার সকাল ছয়টার দিকে নাটোর শহরের স্টেশন রোডের নিজ বাড়ির সামনে। ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ আওয়ামী লীগের চিহ্নিত কর্মীরা তাঁকে গুলি করেছে। তবে জেলা আওয়ামী লীগ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এলাকাবাসী, প্রত্যক্ষদর্শী ও সদর থানা সূত্রে জানা যায়, সাইফুল ইসলামের বাড়ির পাশের মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করে নিজ বাড়ির সামনে ছোট ভাই আসলাম হোসেনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সকাল সাড়ে ৬টার সময় স্টেশন রোড দিয়ে আসা ১০ থেকে ১২টি মোটরসাইকেলের আরোহীরা তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা করে। বিপদ বুঝতে পেরে তিনি নিজ বাড়ির গলিতে দৌড় দিলে দুর্বৃত্তরা পেছন থেকে পরপর তিনটি গুলি করে। তিনি চিৎকার দিয়ে বাড়ির ফটকে পড়ে গেলে স্বজনেরা এসে তাঁকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাঁর অবস্থা গুরুতর বলে তাঁর সঙ্গে থাকা স্বজনেরা জানিয়েছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আসলাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আমার বড় ভাইয়ের (সাইফুল ইসলাম আফতাব) সঙ্গে কথা বলছিলাম। সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে কোয়েলের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১২টি মোটরসাইকেলে আওয়ামী লীগের ছেলেরা সেখানে গিয়ে অতর্কিত হামলা করে। তারা আমার ভাইকে গুলি করে। একটা গুলি লাগার পর আমার ভাই বাড়িতে ঢুকে পড়ে যায়।’ কাউকে চিনতে পেরেছেন কি না, তা জানতে চাইলে বলেন, হামলাকারীদের মধ্যে রাশিদুল ইসলাম ওরফে কোয়েল ছিল।
ভাইয়ের কী অবস্থা, তা জানতে চাইলে আসলাম বলেন, ‘আমার ভাইয়ের পিঠ, মাজা ও ডান হাতে গুলি লেগেছে। হাতের গুলি এপার থেকে ওপার দিয়ে বের হয়ে গেছে। তার অবস্থা খারাপ। আইসিইউতে আছে। অপারেশন করার প্রস্তুতি চলছে।’
তবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম দাবি করেন, আওয়ামী লীগের কেউ সাইফুল ইসলাম আফতাবকে গুলি করেননি। তাঁরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছেন। আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য কেউ এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে।
নাটোর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘গুলি করার কথা শুনেছি। তবে বিস্তারিত কিছু জানি না। কেউ এ ব্যাপারে অভিযোগ দেননি। খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।’