দুই ভাইয়ের বাইরেও দলীয় মনোনয়ন পেতে বেশ কয়েকজন নেতা সক্রিয় হয়েছেন, করছেন গণসংযোগ।
সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ফরিদপুর-২ আসনের উপনির্বাচন আগামী ৫ নভেম্বর। গতকাল সোমবার এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
এদিকে সাজেদা চৌধুরীর উত্তরসূরি হিসেবে আসনটিতে কে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন, তা নিয়ে এলাকায় আলোচনা চলছে। এ ক্ষেত্রে সাজেদা চৌধুরীর পরিবারের দুই সদস্য আলোচনায় এসেছেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা দলের মনোনয়ন চাইবেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
ফরিদপুরের নগরকান্দা, সালথা ও সদরপুরের কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ফরিদপুর–২ আসন। ১১ সেপ্টেম্বর এ আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী (৮৭) মারা যান। ১৩ সেপ্টেম্বর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়।
সাজেদা চৌধুরীর তিন ছেলে ও এক মেয়ে। জ্যেষ্ঠ পুত্র আয়মন আকবর চৌধুরী ২০১২ সাল থেকে এলাকায় মায়ের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। তবে শেষের দিকে সেই দায়িত্ব পান তাঁর ছোট ছেলে শাহদাব আকবর চৌধুরী। মেজ ছেলে সাজেদ আকবর চৌধুরী ও মেয়ে মারুফ আকবর চৌধুরীকে কখনো রাজনীতির মাঠে দেখা যায়নি। শাহদাব আকবরের দলীয় পদ না থাকলেও আয়মন আকবর নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে আছেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, জীবিত অবস্থায় সাজেদা চৌধুরী রাজনৈতিক উত্তরসূরি হিসেবে ছেলের কথা বলেছেন। কিন্তু কোন ছেলে, তা তিনি স্পষ্টভাবে কোথাও বলেননি। তবে রাজনীতির মাঠে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই ভাইয়ের কর্মকাণ্ড নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। মায়ের মৃত্যুর পর দলীয় মনোনয়ন পেতে আবারও মুখোমুখি দাঁড়িয়েছেন তাঁরা।
তবে সব ভাইবোন একসঙ্গে আছেন দাবি করেছেন শাহদাব আকবর চৌধুরী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা সব ভইবোন একসঙ্গে আছি। বড় ভাইয়ের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। পরিবারের সদস্যরা চান আমি প্রার্থী হই।’ বড় ভাই আয়মন আকবর মনোনয়ন চাইবেন কি না, জানতে চাইলে শাহদাব বলেন, ‘ভাই আমাকে সমর্থন দিয়েছে। আর বোন মনোনয়ন চাইবেন না।’
শাহদাব মিথ্যা কথা বলছেন বলে দাবি করেছেন আয়মন আকবর। তিনি বলেন, ‘পারিবারিকভাবে এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি যে শাহদাব মনোনয়ন চাইবেন। তিনি মিথ্য কথা বলেছেন। আমি মনোনয়ন চাইব এবং আমার অনুসারীদের তাঁর (শাহদাব) নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য আমাকে নির্বাচন করতে হবে।’
দুই ভাইয়ের বাইরেও দলীয় মনোনয়ন পেতে বেশ কয়েকজন নেতা সক্রিয় হয়েছেন।
তাঁরা হলেন নগরকান্দা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জামাল হোসেন মিয়া, জেলা শ্রমিক লীগের সাবেক সহসভাপতি সাইফুজ্জামান ওরফে জুয়েল চৌধুরী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য আ ত ম হালিম ও সাব্বির হোসেন, জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক কাজী আবদুস সোবাহান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নগরকান্দা চরযশোহরদী গ্রামের আবু ইউসুফ।