আসন্ন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের কোনো নেতা-কর্মী অংশ নিলে তাঁদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহানগর বিএনপি। আজ শনিবার নগরের কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত নির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় বলা হয়, যেহেতু বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে দল কোনো নির্বাচনে যাবে না, তাই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের কেউ অংশগ্রহণ করলে বা কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে, এমন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সেই বা সেই সব নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ছাড়া সভায় আগামী ৮, ৯, ১০ ও ১১ মে নগরের খুলনা সদর, সোনাডাঙ্গা থানা, দৌলতপুর থানা ও খানজাহান আলী থানা বিএনপির সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই সম্মেলনের জন্য সৈয়দা রেহেনা ঈসাকে আহ্বায়ক এবং নুরুল হাসান ও মাসুম রশিদকে সদস্য করে তিন সদস্যের একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ৩০ এপ্রিল থেকে দলীয় কার্যালয়ে সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু করবেন বলে জানানো হয়। এ ছাড়া সভা থেকে খুলনা কারাগারে বন্দী কেন্দ্রীয় তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খানসহ সব বন্দীর মুক্তির দাবি জানানো হয়।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব শফিকুল আলমের সঞ্চালনায় নির্বাহী কমিটির সভায় বক্তব্য দেন যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম, বিএনপির নেতা কাজী মো. রাশেদ, স ম আবদুর রহমান, সৈয়দা রেহেনা, শের আলম, আবুল কালাম, বদরুল আনাম খান, মাহাবুব হাসান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক, মাসুদ পারভেজ, শেখ সাদি, হাসানুর রশিদ চৌধুরী প্রমুখ।
সভায় বিএনপির নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ধরে রাখার দুরভিসন্ধি করছে। ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক ধ্বংস করায় বড় ধরনের খেসারত দিতে হবে সরকারকে। কোনো দেনদরবার, কোনো আলোচনা নয়, অবৈধ সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।
বক্তারা আরও বলেন, সরকারের সময় ফুরিয়ে আসায় তারা বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের মরণকামড় দিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কোনো ধরনের মামলা ছাড়া নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার, বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশির নামে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে।