চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে বিধ্বস্ত সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের কারখানা পরিদর্শন করেছেন বিস্ফোরক অধিদপ্তরের দুই কর্মকর্তা। আজ রোববার সকাল ৯টায় উপজেলার ভাটিয়ারি ইউনিয়নের কদমরসুল এলাকায় অবস্থিত কারখানাটি পরিদর্শনে যান তাঁরা। সেখানে তাঁরা প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করেন।
পরিদর্শন শেষে কারখানা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বিস্ফোরক অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. তোফাজ্জল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বিস্ফোরণের কারণ জানতে কারখানাটি পরিদর্শন করেছেন তাঁরা। পরিদর্শনে প্রাথমিকভাবে তাঁদের মনে হয়েছে, কারখানাটিতে অক্সিজেন সিলিন্ডারের বিস্ফোরণ ঘটেনি। প্ল্যান্ট থেকে যে কলামের মাধ্যমে অক্সিজেন সিলিন্ডারে ভরা হয়, সেটি বিস্ফোরিত হয়েছে। কী কারণে বিস্ফোরণ হয়েছে, তা নিশ্চিত হতে আরও নিবিড়ভাবে তদন্ত করবেন তাঁরা।
তোফাজ্জল হোসেন বলেন, কারখানায় অক্সিজেন ছাড়াও কার্বন ডাই-অক্সাইড ও নাইট্রোজেনের সিলিন্ডার দেখতে পেয়েছেন তিনি। কারখানার চারটি পয়েন্টে সিলিন্ডারে গ্যাস ভরার ব্যবস্থা রয়েছে। বিস্ফোরণের ব্যাপারে কারখানা কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য তাঁরা জানতে পারেননি। তিনি বলেন, কারখানাটিতে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স রয়েছেন কি না, তা তাঁর জানা নেই। লাইসেন্স দেওয়া হয় বিস্ফোরক অধিদপ্তরের ঢাকা কার্যালয় থেকে। সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম চলছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে শিল্পে ব্যবহৃত অক্সিজেন উৎপাদনের কারখানা সীমা অক্সিজেন লিমিটেডে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে ছয়জন নিহত হন। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন।
বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কারখানার আশপাশের অন্তত এক বর্গকিলোমিটার এলাকা। বিচ্ছিন্ন লোহার টুকরা ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। বিস্ফোরণস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূর পর্যন্ত উড়ে যায় লোহার পাত।
এর আগে গত বছরের ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের কেশবপুরে বিএম ডিপোতে আগুন থেকে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত হন ৫০ জন। বিএম ডিপো থেকে সীমা অক্সিজেন কারখানার দূরত্ব পৌনে এক কিলোমিটার।