মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় রমজান মুন্সী (৪০) নামের এক সিঙ্গাপুরপ্রবাসীর বস্তাবন্দী হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের ৫০০ গজ উত্তরে শ্রীনগর খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এর আগে গত সোমবার বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন রমজান। নিহত রমজান উপজেলার শ্যামশিদ্দি ইউনিয়নের গাদীঘাট গ্রামের সিরাজ মুন্সীর ছেলে। সেপ্টেম্বর মাসে রামজান ছুটিতে দেশে এসেছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে শ্রীনগর খালে বস্তাবন্দী কিছু একটা ভাসছিল। স্থানীয় লোকজন কাছে যেতেই দেখতে পান বস্তাবন্দী একটি লাশ পানিতে ভাসছে। পরে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে রমজানের স্বজনেরাও লাশটি দেখতে আসেন। পরে এ লাশটি রমজানের লাশ হিসেবে শনাক্ত করেন তাঁর স্বজনেরা। লাশটির হাত-পা দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল।
নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা জানান, গত সোমবার সকালে বাড়ি ও জমিজমার কাগজপত্র ঠিক করতে বাড়ি থেকে বের হন রমজান। এরপর সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও তিনি ফিরে আসেননি। তাঁর মুঠোফোনও বন্ধ পান স্বজনেরা। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাঁর কোনো সন্ধান না পেয়ে রাতে শ্রীনগর থানায় একটি নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রমজানের স্ত্রী নাজমা বেগম।
নিহত ব্যক্তির স্ত্রী নাজমা বেগম বলেন, ‘গতকাল ভোরে সিঙ্গাপুরে চলে যাওয়ার কথা ছিল রমজানের। বাড়ির কাগজপত্র নিয়ে সোমবার সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় বলে ছিলেন শ্রীনগর বাজারে যাবেন। সেখানে একজনকে কাগজপত্র দেখিয়ে চলে আসবেন। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ হন। ওনাকে সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছি। আজকে ওনার লাশ পেয়েছি। স্বামীর হত্যার বিচার চাই।’
নিহত ব্যক্তির চাচাতো ভাই আদিল আহমেদ বলেন, রমজান খুব ভালো মানুষ ছিলেন। তাঁর সঙ্গে কারও দ্বন্দ্বও ছিল না। তবে তাঁর লাশ দেখে মনে হয়েছে তাঁকে খুব কষ্ট দিয়ে মারা হয়েছে। যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে, সেই অপরাধীদের শনাক্ত করে শাস্তির দাবি জানান আদিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম উদ্দিন চৌধুরী জানান, রমজানের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কারা, কী কারণে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, বিষয়টির তদন্ত চলছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।