বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘হামুনের’ প্রভাব কেটে যাওয়ার পর বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের সব রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। আজ বুধবার সকাল আটটায় সব নৌপথে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উপপরিচালক ও বরিশাল নদীবন্দরের কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে গতকাল মঙ্গলবার বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীতে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বিআইডব্লিউটিএ।
দুপুরে বরিশাল লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, অভ্যন্তরীণ নৌপথের একতলা লঞ্চগুলো যাত্রী নিয়ে টার্মিনাল ছেড়ে যাচ্ছে। বিআইডব্লিউটিএ টার্মিনালে দায়িত্বরত ব্যক্তিরা জানান, বরিশালের অভ্যন্তরে ভোলা, পাতারহাটসহ ১২টি নৌপথে লঞ্চ চলাচল শুরু করেছে। সন্ধ্যার পর বরিশাল থেকে ঢাকাগামী লঞ্চগুলো যাত্রী নিয়ে চলে যাবে।
ঘূর্ণিঝড়ের পর পটুয়াখালী থেকেও লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। পটুয়াখালী নদীবন্দরে ঢাকাগামী দুটি লঞ্চে যাত্রী তুলতে দেখা যায়। পটুয়াখালী নদীবন্দরের ট্রাফিক পরিদর্শক দিনেশ কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় হামুনের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আজ অভ্যন্তরীণসহ সব নৌপথে লঞ্চ চলাচল শুরু হচ্ছে। সন্ধ্যায় পটুয়াখালী থেকে ঢাকার উদ্দেশে লঞ্চ ছেড়ে যাবে এবং ঢাকা থেকেও পটুয়াখালীর উদ্দেশে লঞ্চ ছেড়ে আসবে।
বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক আবদুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের বিপদ কেটে যাওয়ার পর বরিশাল থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব নৌপথে নৌযান চলাচলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকাল আটটায় সব নৌপথে লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে।