সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কমেছে সুরমা নদীর পানি। আজ বুধবার সকালে সিলেট নগরের কিনব্রিজ এলাকায়
সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কমেছে সুরমা নদীর পানি। আজ বুধবার সকালে সিলেট নগরের কিনব্রিজ এলাকায়

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও পানি নামছে ধীরে

ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় ও টানা কয়েক দিনের রোদে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে বন্যাপ্লাবিত এলাকাগুলো থেকে পানি নামছে ধীরগতিতে। সুরমা নদীতে পানি কমলেও কুশিয়ারা নদীর দুটি পয়েন্টে পানি আজ বুধবার সকাল নয়টার দিকে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, আজ সিলেটে স্বাভাবিক বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আর পরবর্তী কয়দিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, নদ-নদী পানিতে ভরাট থাকায় বন্যার পানি নামতে সময় লাগছে। ভারতে থেকে পাহাড়ি ঢল না নামলে এবং সিলেটে বৃষ্টি কম হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

সিলেট পাউবো সূত্র জানায়, আজ সকাল নয়টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার নিচে ছিল। এর আগে সকাল ছয়টা পর্যন্ত পানি বিপৎসীমার ওপরে ছিল। নদীর ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। আবার কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপরে অবস্থান করছিল। অমলশিদ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ১৫ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার। ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে সকাল ৯টায় পানি বিপৎসীমার ৯২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

সিলেট জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নগরের দুটি ওয়ার্ডসহ সিলেটের ১৩টি উপজেলায় বন্যাকবলিত হয়ে মানুষ এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। গতকাল মঙ্গলবারের হিসাব অনুযায়ী, জেলার ৭৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে ২৫৩টিতে বন্যাকবলিত মানুষ অবস্থান করছিলেন। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ১২ হাজার ৯০৫ জন আশ্রয় নিয়েছিলেন।

জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, ২০ জুন থেকে রোদের মাত্রা বাড়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। বৃষ্টি না হওয়ায় পানি কমতে শুরু করেছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে বলে তিনি জানান।