মাদারীপুরে প্রথমার ছয় দিনব্যাপী বইমেলার উদ্বোধন

মাদারীপুরে প্রথমা প্রকাশনের বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা। সোমবার বিকেলে মাদারীপুর পৌরসভা চত্বরে
 ছবি: প্রথম আলো

বই জ্ঞানার্জনের অন্যতম পথ। আর হরেক রকম বইয়ের সঙ্গে পাঠকের মেলবন্ধনের মাধ্যম হলো বইমেলা। মানুষের চিন্তাধারার পরিবর্তন করে বই। তাই মানসিক বিকাশে বই পড়ার বিকল্প নেই।

মাদারীপুরে প্রথমা প্রকাশনের ছয় দিনব্যাপী বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা এসব কথা বলেন। সোমবার বিকেলে মাদারীপুর পৌরসভার নিচতলার সভাকক্ষে এ মেলার উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র মো. খালিদ হোসেন।

মাদারীপুর বন্ধুসভার সার্বিক সহযোগিতায় আয়োজিত প্রথমা প্রকাশনের এ মেলা শেষ হবে ২৭ আগস্ট। মেলার সময় প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।

মেলায় প্রথমা প্রকাশনের বই ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ মূল্য ছাড়ে পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া দেশি-বিদেশি বিভিন্ন লেখকের বইয়ে দেওয়া হচ্ছে ২৫ শতাংশ ছাড়।

প্রথমবারের মতো মাদারীপুরে বইমেলার আয়োজন করায় প্রথমা প্রকাশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘মানসিক বিকাশ ও মানবিকতা চর্চার জন্য বই পড়ার বিকল্প নেই। জীবনে যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন, বই পড়তে হবে। আমাদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ বাড়াতে যাঁরা এ ধরনের মেলার আয়োজন করেন, তাঁদের মধ্যে অবশ্যই দেশাত্মবোধ রয়েছে। স্বাধীনতার চেতনা রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের প্রতি ভিন্ন রকম অনুভূতি রয়েছে।’

উদ্বোধনের পরপরই পাঠক ভিড় করেন মেলায়

প্রথম আলো মাদারীপুর বন্ধুসভার সভাপতি অখিল সরকারের সভাপতিত্ব ও সহসভাপতি কুমার লাভলুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর মাদারীপুর প্রতিনিধি অজয় কুণ্ডু। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মাদারীপুরের সিভিল সার্জন মো. মুনীর আহমদ খান, মাদারীপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) চাইলাউ মারমা, প্রথমা প্রকাশনের ব্যবস্থাপক মো. জাকির হোসেন।

অতিথি ছিলেন মাদারীপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হিতেন চন্দ্র মণ্ডল, নুরজাহান সেলিম নিরাময় হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম সরোয়ার, উদীচী জেলা সংসদের সভাপতি রেজাউল আমিন হাওলাদার, মাদারীপুর পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্য, সদর উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা তপন মজুমদার প্রমুখ।

পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) চাইলাউ মারমা বলেন, বই পড়লে ইউনিক মানুষ তৈরি হয়। মানুষের চিন্তাধারা পরিবর্তিত হয়। তাই বই পড়া বাড়াতে হবে, বইমেলাও বাড়াতে হবে।
সিভিল সার্জন মো. মুনীর আহমদ খান বলেন, বর্তমান যুগের শিক্ষার্থীরা পাঠ্যবইয়ের বাইরে অন্য বই কম পড়ে। এ কারণে তাদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ বইমেলার ফলে মাদারীপুরের শিক্ষার্থীদের বই পড়ায় আগ্রহ কিছুটা হলেও বাড়বে।

বইমেলা সফল করতে সবার সহযোগিতা কামনা করে প্রথমা প্রকাশনের ব্যবস্থাপক মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা বছরব্যাপী সারা দেশে বইমেলা করে থাকি। আশা করছি, আগামী বছরগুলোতেও মাদারীপুরে প্রথমার বইমেলা করব।’