চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচনী প্রচারণায় এক যুবককে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গা জেলার মানচিত্র
চুয়াডাঙ্গা জেলার মানচিত্র

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় নির্বাচনী প্রচারণায় এক যুবককে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন কুপিয়ে জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার দশমাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত মাসুদ রানা (৩২) উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের সমর্থক। তাঁকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় মাসুদ রানার বাবা রমজান আলী বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা সাত-আটজনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সবাই জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ও একই নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী আজিজুল হকের সমর্থক। তাঁরা হলেন সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের মর্তুজাপুর গ্রামের মো. সুজন (৩০), সাইফুল (৩২) ও মো. হোসেন (৩৭)।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার ঘোড়া প্রতীক এবং আজিজুল হক মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ দুজন ছাড়াও উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. আসাদুল হক বিশ্বাস নির্বাচনের মাঠে আছেন।

থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগে আহত মাসুদ রানার বাবা রমজান আলী উল্লেখ করেছেন, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে তাঁর ছেলে মাসুদ রানা আরও কয়েকজনের সঙ্গে ঘোড়া প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণা করতে দশমাইল বাজারে পুলিশ বক্সের সামনে যান। সেখানে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে আসামিরা লাঠিসোঁটা, কাঠের বাটাম, রড, রামদা, হাঁসুয়াসহ দেশি অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মাসুদ রানার নির্বাচনী প্রচারের কাজে বাধা দেন। একপর্যায়ে আসামি মো. সুজনের হুকুমে আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাসুদ রানাকে কুপিয়ে জখম করেন এবং কাঠের বাটাম দিয়ে পেটান।

রমজান আলী বলেন, মাসুদ রানার চিৎকার শুনে স্থানীয় সজল, মনোয়ার ও আলমগীর দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং মাসুদ রানাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।

অভিযোগের বিষয়ে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী আজিজুল হক আজ রোববার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সবেমাত্র ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হয়েছি। যেহেতু এইমাত্র বিষয়টি দেখলাম, তাই হামলায় আহত এবং হামলাকারীদের পরিচয় বিষয়ে আমি কিছুই জানি না, আমাকে কেউ জানায়নি।’

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, দশ মাইল বাজারের ঘটনাটি টাকাপয়সা লেনদেন নিয়ে পূর্ববিরোধের জেরে ঘটেছে। এখানে নির্বাচন–সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে অভিযোগের বিষয়টি সরেজমিনে যাচাই করা হচ্ছে।