বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে জাজিরা উপজেলা আওয়ামী লীগ। এ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মোবারক আলী সিকদারের বাসভবনে উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এ সময় কয়েক শ নেতা-কর্মী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার শপথ নেন। এরপর নেতা-কর্মীরা শোক র্যালি করেন।
আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার পর দিনটি আওয়ামী লীগ শোক দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান। গত কয়েক দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা কয়েকটি স্থানে প্রতিবাদ মিছিল করেছেন। আজ তাঁরা শোক দিবস পালনের জন্য একত্র হয়েছেন।
সভায় বক্তারা বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ও বিদেশি শক্তি মিলে ষড়যন্ত্র করে শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করেছে। উপস্থিত নেতা-কর্মীরা আলোচনা সভায় শপথ নেন, গণতান্ত্রিক পন্থায় সংগ্রাম করে সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনবেন। এই দুর্যোগের মুহূর্তে তাঁরা দেশের মানুষের পাশে থাকারও শপথ নেন।
আলোচনা সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম নুরুল হক সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোবারক আলী সিকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমীন রতন, জাজিরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌকিদার, সাবেক মেয়র আবদুল হক কবিরাজ, আবুল খায়ের ফকির প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা-শরীয়তপুর সড়কে শোক র্যালি বের করা হয়। জাজিরার টিঅ্যান্ডটি মোড়ে শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মোবারক আলী সিকদারের বাসভবন থেকে র্যালিটি টিঅ্যান্ডটি মোড় পর্যন্ত যায়। আবার সেখান থেকে মোবারক আলী সিকদারের বাসভবনে এসে শেষ হয়।
মোবারক আলী সিকদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘কীভাবে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে, তা আমরা দেখেছি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নামে এভাবে বঙ্গবন্ধুর ওপর আঘাত হানা হবে, তা কল্পনাও করতে পারিনি। মুক্তিযুদ্ধের মহানায়কের স্মৃতি মুছে ফেলার জন্য ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটি আগুন দিয়ে ধ্বংস করা কেমন গণতন্ত্র? আমরা বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকীতে একত্র হয়ে শোককে শক্তিতে রূপ দিতে চাই। আমরা মাঠপর্যায় থেকে আন্দোলন গড়ে তুলব। গণতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলন করে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনব। নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে, এটা আমাদের বিশ্বাস। শেখ হাসিনাই আমাদের নেতা। তিনিই আমাদের নেতৃত্ব দিয়ে সংগঠিত করবেন।’