‘আপনাদের কাছে আমার করজোড় অনুরোধ, যদি কেউ বিএনপির নাম দিয়ে সন্ত্রাস করে, চাঁদাবাজি করে, মাস্তানি করে, কারও বাড়ি দখল করে, জমি দখল করে, নিপীড়ন-নির্যাতন করে, আপনারা আমাকে জানাবেন। আমি যদি ব্যবস্থা করতে না পারি, আমি হাতে চুড়ি পরে রাজনীতি ছেড়ে দেব।’
গতকাল শুক্রবার রাতে নাটোর শহরের একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। সভায় জেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার বলেন, ‘আমার অনেক কষ্ট আছে। আমি ঈদের দিন খেতে বসছি। খাওয়ার টেবিল থেকে ওসি বলছে, স্যার, আপনি এখনই চলে যান। তা না হলে আপনাকে অ্যারেস্ট করতে হবে। অর্ধেক খাবার রেখে আমি গাড়ি নিয়ে চলে গেছি। বহুদিন আমি ঈদ করতে আসতে পারিনি। আমি মৃত্যুর আগপর্যন্ত অপেক্ষা করতে চেয়েছি। আমি ভাবিওনি যে আল্লাহ তাআলা ৫ আগস্টের মতো একটা দিন আনবে। আসলে আমি কিছুটা হতাশ হয়ে গেছিলাম। দেশের ছাত্র-জনতাকে আল্লাহ হেফাজত করুক। আমরা কৃতজ্ঞ। এই সংগ্রামে আমাদের সমর্থন ছিল। আমরাও তাঁদের সঙ্গে ছিলাম।’
রুহুল কুদ্দুস তালুকদার আরও বলেন, ‘রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এমপি হওয়ার আগে রাফ অ্যান্ড টাফ ক্যারেক্টারের ছিল। যখন আমি এমপি হয়েছি, তখন আমার ক্যারেক্টার চেঞ্জ হয়ছে। কারণ, এই চেয়ারে যখন আমি এমপি হিসেবে বসেছি, তখন আমি ব্যক্তি হিসেবে না, কারও পক্ষের না, তখন সবার জন্য হয়ে গেছি। এই লালবাজারের (শহরের হিন্দু–অধ্যুষিত একটি মহল্লা) অনেকে এখানে আছেন, তাঁরা জানেন, আমি কখনো এখানে জিততে পারিনি। ভোট হলে পাই ১৭৮ বা দেড় শ ভোট। আর আওয়ামী লীগ পায় দেড় হাজার, ১ হাজার, ১ হাজার ২০০। কই, আমি তো তাদের কিছু বলিনি। বরং মন্ত্রী হওয়ার পর বলেছি, কোনো হিন্দুর শরীরের লোমের আঁচড় যদি পড়ে, আমি রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু শাড়ি পরে রাজনীতি ছেড়ে দেব।’
অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) শহিদুল ইসলাম, সদস্যসচিব রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ হোসেন দেওয়ান, জেলা যুবদলের সভাপতি আফতাব হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আসাদুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।