মা ফরিদা বেগমের সঙ্গে মিনহাজ
মা ফরিদা বেগমের সঙ্গে মিনহাজ

আইফোন চুরি করতে গিয়ে মা-ছেলেকে খুন, কিশোর আটক: পুলিশ

সুনামগঞ্জে বসতঘরের ভেতর মা ও ছেলেকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সপ্তম শ্রেণিপড়ুয়া এক কিশোরকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, একটি আইফোন চুরি করতে গিয়ে আরেক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তারা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার আ ফ ম আনোয়ার হোসেন খান।

আজ ভোরে রাজধানী ঢাকা থেকে ওই কিশোরকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন ফরিদা বেগম (৫০) ও তাঁর ছেলে মিনহাজ আহমদ (১৯)। মিনহাজ সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের ছাত্র ছিলেন। গত মঙ্গলবার সকালে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের হাছননগর এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্বামীর মৃত্যুর পর ছেলেকে নিয়ে চার বছর ধরে সেখানেই থাকতেন ফরিদা। বাড়িটি তাঁর এক প্রবাসী ভাইয়ের। বাড়িটির অন্য অংশে ফরিদার দূরসম্পর্কের আরেক বোনও বসবাস করেন। আটক কিশোর ওই আত্মীয়ের ছেলে।

১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ওই কিশোর ও তাঁর এক সহপাঠী মিলে সিলেটে গিয়ে পার্টি করার পরিকল্পনা করেছিল। এ জন্য টাকার জোগাড় করতে মিনহাজের আইফোন ও তাঁদের ঘর থেকে টাকা চুরির পরিকল্পনা করে তারা। মঙ্গলবার ভোরে কৌশলে মিনহাজের ঘরে ঢোকে ওই কিশোর ও তার বন্ধু। পরে মুঠোফোনটি নেওয়ার সময় জেগে ওঠেন মিনহাজ। তখন দুজন মিনহাজের গলা চেপে ধরে। একপর্যায়ে ওই কিশোরের বন্ধু রান্নাঘর থেকে বঁটি এনে মিনহাজের গলায় উপর্যুপরি আঘাত করলে তাঁর মৃত্যু হয়। তখন আওয়াজ শুনে পাশের কক্ষ থেকে সেখানে আসেন মিনহাজের মা ফরিদা। তিনি চিৎকার করলে তাঁকেও বঁটি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় ওই কিশোর ও তার বন্ধু।

পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। অন্য কিশোরকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।