কম্বল পেয়ে খুশি শীতার্ত নারীরা। বুধবার দুপুরে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার উচাই পাথরঘাটা এলাকায়
কম্বল পেয়ে খুশি শীতার্ত নারীরা। বুধবার দুপুরে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার উচাই পাথরঘাটা এলাকায়

‘কম্বল প্যায়ে মোক আনন্দ লাগোচে’

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বাজিতপুর, পাথরঘাটা, কাটাপাড়া, সূর্য্যাপুর ও নওপুকুরা গ্রামের শীতার্ত ১০০ নারী ও পুরুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। প্রথম আলো ট্রাস্টের উদ্যোগে ও এনআরবিসি ব্যাংকের সহায়তায় এসব বিতরণ করা হয়।

আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার আটাপুর ইউনিয়নের পাথরঘাটা বৌদ্ধবিহার, মালো মহাসভা কেন্দ্র ও বৃদ্ধাশ্রম থেকে এসব কম্বল বিতরণ করা হয়।

৮৫ বছরের নির্মলা মালো ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারেন না। অন্যের সহযোগিতায় কম্বল নিতে এসেছিলেন। কম্বল হাতে পেয়ে এই বৃদ্ধার চোখেমুখে আনন্দের ঝিলিক দেখা যায়। তাঁর মতো অনেকের চোখেমুখে ছিল কম্বল পাওয়ার আনন্দ।

বাজিতপুর গ্রামের কুটিলা মালো (৮২) শারীরিকভাবে অসুস্থ। বৌদ্ধবিহার, মালো মহাসভা কেন্দ্র ও বৃদ্ধাশ্রম থেকে তাঁর বাড়ির দূরত্ব দুই কিলোমিটার। তিনিও অন্যের সহযোগিতায় কম্বল নিতে সেখানে আসেন। কম্বল হাতে পেয়ে আনন্দিত এই বৃদ্ধা বলেন, ‘আজক্যা রাতত থ্যাকি কম্বলটা গাওত দিয়ে ঘুমামো।’

এই শীতে কম্বল পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এই বয়স্ক নারী

পাথরঘাটার মোমেনা খাতুন (৬৫) বলেন, ‘চাদর গাওত দিয়ে শীত যাবার চায় না। কম্বল গাওত দিয়ে গরম পানু। তোমাকে জন্নি দোয়া করমু।’ গোলাপী সরেন (৪৮) বলেন, ‘কম্বল প্যায়ে মোক আনন্দ লাগোচে। মোক রাতত আর শীতত কষ্ট করা লাগবে না। কম্বলের উশুমে আরামে ঘুমামো।’

কম্বল বিতরণের সময় পাথরঘাটা বৌদ্ধবিহারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সুশীলপ্রিয় ভিক্ষু, সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার মালো, প্রথম আলোর জয়পুরহাট প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম, বন্ধুসভার সভাপতি নাজমুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক সুরাইয়া আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শীতার্ত মানুষের সহযোগিতায় আপনিও এগিয়ে আসতে পারেন। সহায়তা পাঠানো যাবে ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে।
হিসাবের নাম: প্রথম আলো ট্রাস্ট/ত্রাণ তহবিল
হিসাব নম্বর: ২০৭২০০১১১৯৪
ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড, কারওয়ান বাজার শাখা, ঢাকা।

অথবা বিকাশে পেমেন্ট করতে পারেন: ০১৭১৩-০৬৭৫৭৬ এই মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বরে। বিকাশ অ্যাপে ডোনেশন অপশনের মাধ্যমেও আপনার অনুদান পাঠাতে পারেন।