বিশ্বনাথ পৌরসভা নির্বাচন

আঙুলের ছাপ মিলছে না লাল বানুর, তিনটার পর চেষ্টা করতে বললেন কর্মকর্তা

নির্বাচন
প্রতীকী ছবি

সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার রামসুন্দর সরকারি অগ্রগামী মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্র। ওই কেন্দ্রের ৬ নম্বর বুথের ভেতরে পেতে রাখা একটি বেঞ্চে বসেছিলেন মোছা. লাল বানু (৬৭)। পৌরসভাটিতে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে ভোট দিতে এসেছিলেন তিনি। তাঁর বাড়ি বিশ্বনাথ পুরান বাজারে। তাঁর দাবি, তিনি সকাল আটটায় ভোটকেন্দ্রে এসেছিলেন জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে। তবে বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত তিনি একটি বুথে ঢুকে বসে ছিলেন। সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা তাঁকে বলেন, বেলা তিনটায় আসতে। বাড়ি দূরে হওয়ায় তিনি বাড়ি ফিরে যেতে চাচ্ছিলেন না।

ওই বুথের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নাসিমা বেগম বলেন, সকালে এলেও লাল বানুর আঙুলের ছাপ মিলছে না। এ জন্য ভোট নেওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি তিনি প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন। তিনিও বলেছেন বেলা তিনটায় আবার চেষ্টা করতে। লাল বানুর হাতে পেট্রোলিয়াম জেলি ও স্যানিটাইজার দিয়ে চেষ্টা করা হয়েছে। এরপর আঙুলের ছাপ মেলেনি।

ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন বলেন, কেন্দ্রে ২ হাজার ১৩৪টি ভোটের মধ্যে সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ২৫৮টি ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ভোটাররা সময় নিচ্ছেন, তবে ভোটারদের সরব উপস্থিতি রয়েছে। দুই–একটি ক্ষেত্রে ভোটারদের আঙুলের ছাপ মিলছে না। সেগুলো সময় নিয়ে আবার চেষ্টা করা হচ্ছে।

বিশ্বনাথ পৌর নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডের ২০টি কেন্দ্রে ১১৮টি ভোটকক্ষ আছে। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৫ হাজার ৪৭০। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৮ হাজার ২৭৯ ও নারী ভোটার ১৭ হাজার ১৯১।

নির্বাচনে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা মুহিবুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ, উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিন ও যুক্তরাজ্যের নিউহাম বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মুমিন খান। জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শিব্বির আহমদ, আল-ইসলাম পৌর শাখার সভাপতি ফয়জুল ইসলাম ও যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা সফিক উদ্দিন। প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী দলীয় মনোনয়নে নির্বাচন করছেন।