আন্দোলনের ১০০ দিন পূর্তিতে সিলেটে শহীদ ও আহতদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন সমন্বয়কেরা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে হতাহতদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নিচ্ছেন সিলেটের সমন্বয়কেরা। শনিবার গোলাপগঞ্জে
ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১০০ দিন পূর্তিতে শহীদদের স্বজন ও আহতদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন সিলেটের সমন্বয়কেরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল শুক্র ও আজ শনিবার এই দুই দিন ধরে এ কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক দেলোয়ার হোসেন। আহত ব্যক্তিদের খোঁজ নেওয়ার পর আজ সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনটি দাবি তুলে ধরেন তিনি। তিন দফা দাবি হলো আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা, আহত ও শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন এবং হামলাকারীদের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে সম্পন্ন করা।

দেলোয়ার হোসেন জানান, দুই দিনে সিলেট জেলার ১৪ জন শহীদ ও আহত ব্যক্তির পরিবারের খোঁজখবর নিয়েছেন তাঁরা। এর মধ্যে গতকাল সিলেটের ধনপুর, অনন্তপুরসহ কয়েকটি স্থানের তিনজন শহীদের পরিবার ও চারজন আহত ব্যক্তির খোঁজখবর নিয়েছেন। আজ সিলেটের গোপালগঞ্জের আহত সাত ব্যক্তির খোঁজ নেন তাঁরা। আহত ব্যক্তিদের খোঁজখবর নেওয়ার এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহত একজনের খোঁজ নিতে হাজির সিলেটের সমন্বয়কেরা। শনিবার গোলাপগঞ্জে

দেলোয়ার হোসেন আরও বলেন, ‘আহত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন বিষয়ে সরকারের ভূমিকা ও উপদেষ্টাদের দায়িত্ব পালনের বিষয়টি জোরালোভাবে তুলে ধরতে হবে। উপদেষ্টারা যদি আহত ও শহীদ পরিবারের যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হন, তবে দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে যথাযথ মানুষের কাছে হস্তান্তর করুন।’

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক ফয়সাল হোসেন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক দেলোয়ার হোসেন ও সিলেট জেলা সমন্বয়ক আকতার হোসেন। কর্মসূচিতে সমন্বয়কদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন আন্দোলনকারী আবদুল মুহাইমিন (সাদমান), জুনায়েদ আহনাফ, ফাহিমা আক্তার, আমিন উদ্দিন খান, সুলতান আহমেদ, মালেকা খাতুন প্রমুখ।