নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে সন্দ্বীপ চ্যানেলে অভিযানে ১২৩ কেজি মাছ জব্দ, গ্রেপ্তার ৩

সীতাকুণ্ডের মুরাদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় জব্দ সামুদ্রিক মাছ
ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরের মোহনা ও নদ–নদীতে মাছ ধরার ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার গুলিয়াখালী ও ভাটিয়ারীর সন্দ্বীপ চ্যানেলে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ ও কোস্টগার্ড। গতকাল প্রথম দিনের অভিযানে ৭টি টং জাল, ২০ হাজার মিটার ইলিশ জাল, ১২০ কেজি সামুদ্রিক ছোট মাছ ও ৩ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। এ সময় তিন জেলেকে গ্রেপ্তার করেছে নৌ পুলিশ।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দুপুরে ভাটিয়ারীর বঙ্গোপসাগরের মোহনা থেকে সাতটি জালসহ তিন জেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করা হয়েছে। পরে মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালীর বেড়িবাঁধ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১২০ কেজি ছোট মাছ ও ৩ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। অভিযান টের পেয়ে এ সময় জেলেরা মাছ রেখে পালিয়ে যান।

কামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ১২ অক্টোবর থেকে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিনব্যাপী বঙ্গোপসাগরের মোহনা ও নদ–নদীতে মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য সব ধরনের মাছ আহরণ, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ আইন অমান্য করলে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

কুমিরা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (আইসি) মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, জব্দ করা সামুদ্রিক মাছ ছয় হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়। ইলিশগুলো এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে জব্দ করা জাল পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়। অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম রফিকুল ইসলাম, কোস্টগার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো. ইসমাইল প্রমুখ।