বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে নির্বাচনে থাকা না–থাকা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন হিরো আলম। বৃহস্পতিবার দুপুরে
বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে নির্বাচনে থাকা না–থাকা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন হিরো আলম। বৃহস্পতিবার দুপুরে

টাকার কাছে বিক্রি হয়েছি, ধারণা ভাঙতে নির্বাচনে আছি: হিরো আলম

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন হিরো আলম। পরে নির্বাচনে থাকা না–থাকা নিয়ে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

হিরো আলম বলেন, ‘নিবাচন থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম। কারণ, ভোটাররা বলছেন, “তোমাকে ভোট কয়বার দেব? তুমি তো পাস করলেও ফল ঘোষণা হয় না।” ভোটারদের অনুরোধে নির্বাচনের মাঠে থেকে গেলাম। অনেকে মনে করেছেন, হিরো আলম টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। টাকা খেয়ে ভোটের মাঠ থেকে সরে যাচ্ছে। এসব ধারণা ভেঙে দেওয়ার জন্যই নির্বাচনের মাঠে আছি।’

পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে হিরো আলম বলেন, ‘কাল শুক্রবার থেকে প্রচারণা শুরু করব। প্রচারণার আগে প্রশাসনের সহযোগিতার জন্য এসপি স্যারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। প্রশাসনকে জানিয়েছি, কাহালু-নন্দীগ্রামে প্রচারণার সময় যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে পুলিশ যেন সহযোগিতা করে।’ তিনি বলেন, ‘ভোটারদের অনুরোধে নির্বাচনের মাঠে আছি। কাউকে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেব না। কেউ যেন ফাঁকা মাঠে গোল দিতে না পারে, এ জন্য নির্বাচনের মাঠে আছি।’

নির্বাচনী ব্যয়ের বিষয়ে হিরো আলম বলেন, ‘নির্বাচন করতে আহামরি খরচ হয় না। যাঁরা দুর্বল প্রার্থী, তাঁরাই নির্বাচনে টাকা খরচ করেন। আমার নির্বাচনের খরচ জনগণ দেন, জনগণের টাকায় নির্বাচন করব। আর জনগণ আমাকে ভালোবেসেই ভোট দেবেন।’

হিরো আলমের সাক্ষাতের বিষয়ে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী প্রথম আলোকে বলেন, বগুড়ার সাতটি আসনের প্রত্যেক প্রার্থীকে পুলিশ সমান সহযোগিতা করবে। এখানে কাউকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। হিরো আলম দেখা করতে এসেছিলেন। তাঁর কথা শুনেছেন এবং পুলিশ নির্বাচনী বিধি মেনে সহযোগিতা করবে বলে তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।

এর আগে বগুড়া-৪ আসনে হলফনামাসহ আনুষঙ্গিক কাগজপত্রে স্বাক্ষর না করাসহ নানা ত্রুটির কারণে ৩ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই শেষে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পান। এর তিন দিনের মাথায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন হিরো আলম। কিন্তু ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি।

হিরো আলম গত ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (একতারা প্রতীক) হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে বগুড়া-৪ আসনে ১৪–দলীয় জোটের শরিক জাসদের এ কে এম রেজাউল করিমের কাছে ৮৩৪ ভোটে হেরে যান। এরপর ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। এবার তিনি বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।