জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, ‘কেউ যদি ধর্মকে ব্যবহার করে, যে ধর্মই হোক না কেন, ধর্মকে ব্যবহার করে যদি যেকোনো ধরনের উগ্র সাম্প্রদায়িক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়, সেটা ইসকনের মতো কোনো উগ্রবাদী সংগঠন হোক বা অন্য যেকোনো ধর্মের সংগঠন হোক, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান সব সময় সোচ্চার থাকবে।’
আজ শনিবার সকালে ময়মনসিংহ নগরের টাউন হলের তারেক স্মৃতি মিলনায়তনে জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থানে নিহত বিভাগের ৫৫ জনের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন সারজিস আলম। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন এর আয়োজন করে।
আগের কথার সূত্র ধরে সারজিস আলম আরও বলেন, ‘আমরা চাই, এ রকম উগ্রবাদী যে সংগঠন রয়েছে, যারা ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষের ভেতর এ রকম সাম্প্রদায়িক সংঘাত ঘটাতে চায় এবং দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চায়, সে সব উগ্রবাদী সংগঠনকে যেন নিষিদ্ধ করা হয়। এই দাবি আমাদের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে এসেছি।’
সারজিস আলম বলেন, ‘চট্টগ্রামে ওই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর থেকেই আমরা আমাদের জায়গা থেকে যেভাবে বলা দরকার, যা করা দরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। আপনি দেখেছেন যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটিয়েছে ইসকনের কিছু উগ্রবাদী সদস্যরা। যাদের আমরা জঙ্গি বলতে দ্বিধাবোধ করব না। কারণ, প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষকে জবাই করে হত্যার মতো বিভীষিকাময় কোনো ঘটনা হতে পারে না।’
এর আগে অনুষ্ঠানে সারজিস আলম বলেন, ‘খুনি হাসিনা ও তার দোসরেরা সব দিক দিয়ে চেষ্টা করছে, আমরা যেন সফল না হই। কোনোভাবে যদি আমরা ব্যর্থ হই, আমরা এখানে যারা রয়েছি, তাদের কারোরই অস্তিত্ব খুনি হাসিনা রাখবে না।’ তাঁর ভাষায়, ‘কালো শকুনদের খারাপ চক্রান্ত এখনো থামেনি। আপনাদের দোয়ায় যদি বেঁচে থাকতে পারি, তাহলে কোনো শহীদ পরিবার ও আহত ভাইদের গায়ে একটি টোকাও লাগতে দিব না।’
অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. ইউসুফ আলী, পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম) মোহাম্মদ শরিফুর রহমান, জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) শামীম হোসেন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিনিধি চিকিৎসা কর্মকর্তা তুবাউল জান্নান, শহীদ আহনাফের মা জারতাজ পারভীন প্রমুখ।