নড়াইলের কালিয়ায় পুলিশের ওপর হামলা করে ছিনিয়ে নেওয়া আসামিসহ গ্রেপ্তার তিনজন। রোববার দুপুরে কালিয়া থানায়
নড়াইলের কালিয়ায় পুলিশের ওপর হামলা করে ছিনিয়ে নেওয়া আসামিসহ গ্রেপ্তার তিনজন। রোববার দুপুরে কালিয়া থানায়

নড়াইলে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩

নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলা করে ছিনিয়ে নেওয়া হত্যা মামলার আসামি ছাব্বির শেখকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার চাঁদপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ছাব্বির শেখ কালিয়া উপজেলার চাঁদপুর এলাকার আলিম শেখের ছেলে। অন্যদিকে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার একজন ছাব্বিরের ভাই নিসান শেখ (২১) ও অন্যজন একই এলাকার জাহিদ মোল্যা (৫৫)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ সেপ্টেম্বর রাত আটটার দিকে উপজেলার চাঁদপুর এলাকায় চাঁদপুর-রঘুনাথপুর আঞ্চলিক সড়কে নাসিম শেখ নামের এক শিক্ষার্থীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ২৬ সেপ্টেম্বর আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেন তাঁর মা তানিয়া সুলতানা। আদালতের নির্দেশে ২ ডিসেম্বর কালিয়া থানায় ওই হত্যা মামলা রেকর্ড করা হয়।

ওই মামলার আসামি ছাব্বির শেখকে গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে চাঁদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে কালিয়া থানা-পুলিশের একটি দল। তাঁকে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নেওয়ার সময় পুলিশের পথ আটকে তাঁকে ছিনিয়ে নিয়ে যান স্বজনেরা। পরে এ ঘটনায় থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা হয়। মামলার পর ওই আসামি ও হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে পুলিশ।

কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের ওপর হামলা করে ছিনিয়ে নেওয়া আসামিসহ আরও দুজনকে আজ সকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হাতকড়াটিও উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হচ্ছে।

এর আগে গত ২৩ নভেম্বর সদর উপজেলার গোবরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চার মামলার আসামি বিল্লাল শেখকে (৫০) হাতকড়া পরা অবস্থায় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন স্বজনেরা। পরে ৬ ডিসেম্বর গাজীপুর নগরের গাছা থানার কুনিয়া তারাগাছা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।