সাভারে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ছে পুলিশ। ঢাকার সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে
সাভারে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছুড়ছে পুলিশ। ঢাকার সাভারে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে

সাভারে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ চলছে, পুলিশ বক্স ভাঙচুর

ঢাকার সাভারে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে। আজ বৃহস্পতিবার আন্দোলনকারীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউনের’ মধ্যে সাভার বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে। এ সময় দুটি পুলিশ বক্স ভাঙচুর করেন উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, আজ সকাল ১০টার দিকে সাভার থানা স্ট্যান্ড এলাকার বিভিন্ন স্থানে জড়ো হতে শুরু করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তাঁরা জোটবদ্ধ হয়ে সাভার বাসস্ট্যান্ড–সংলগ্ন পাকিজা বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হলে দুপুর ১২টার দিকে উপস্থিত পুলিশ সদস্যের সঙ্গে তাঁদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। পুলিশও তাঁদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আশপাশের বিভিন্ন গলিতে ঢুকে পড়েন।

পরে আবার দলবদ্ধ হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পুলিশও পাল্টা কাঁদানে গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট ছুড়তে থাকে। এর মধ্যে বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকার উভয় পাশের অন্তত দুটি পুলিশ বক্স ভাঙচুর করেন। এ ছাড়া থানা স্ট্যান্ড থেকে রেডিও কলোনি পর্যন্ত ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আশপাশের বিপণিবিতানসহ অন্তত ১৫-২০টি দোকানের কাচ ভাঙচুর করা হয়। অনেকে দোকান বন্ধ করে আগেই চলে যান। সংঘর্ষের সময় স্থানীয় অনেকেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যুক্ত হন। সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকজন আহত হন। আহত দুজনকে সাভারের বেসরকারি এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

সাভারে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে

বেলা দুইটার দিকে পুলিশের একটি সাঁজোয়া যান ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বেলা আড়াইটায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ি চলছিল।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সড়কে অবস্থানকারীদের একাধিকবার বোঝানো হলেও তাঁরা শোনেননি। একপর্যায়ে তাঁরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়।