অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি বন্ধ চিনিকলগুলো যেন একটার পর একটা চালু করা হয়। ইতিমধ্যে একটা টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। যার মধ্যে আখচাষিদের প্রতিনিধিরাও আছেন, যাঁরা আখ চাষ করছেন, তাঁরাও আছেন। আমরা এর আগে আখের মূল্য পরিশোধের জন্য ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলাম, এখন আরও এক শ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।’
শনিবার সকালে দিনাজপুর সেতাবগঞ্জ সুগার মিল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আদিলুর রহমান খান। পরে আখচাষি ও চিনিকল কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান লিপিকা ভদ্র, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম, বোচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফ হাসান, সেতাবগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল বাশার প্রমুখ।
সেতাবগঞ্জ চিনিকলকে সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘সবই তো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, আমরা চেষ্টা করছি চালু করার। এখানকার ছাত্র-জনতার দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে যদ দ্রুত সম্ভব ভূমি দস্যুদের দমন করে চিনিকলের জমিগুলোও উদ্ধার করা হবে।’
সেতাবগঞ্জ মিলের যন্ত্রপাতি অন্য চিনিকলে নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে শিল্প উপদেষ্টা বলেন, কখনো কখনো বন্ধ চিনিকলের যন্ত্রপাতি চালু থাকা মিলে নেওয়ার প্রয়োজন হয়তো হয়েছে। কিন্তু যখনই এই মিলটি চালুর সিদ্ধান্ত হবে, তখন সেগুলো নিয়ে এসে পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা হবে।
দিনাজপুর জেলার একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান সেতাবগঞ্জ চিনিকলটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৩৩ সালে। ১৯৯৫ সালের পর থেকে ব্যয় বেড়ে যাওয়া, আখের উৎপাদন কমে যাওয়াসহ নানা কারণে লোকসান গুনতে শুরু করে কারখানাটি। ২০২০ সালে মিলের লোকসান বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় চার শ কোটি টাকা। ওই বছরের ডিসেম্বরে লোকসানের মুখে দেশের ছয়টি কারখানার সঙ্গে সেতাবগঞ্জ চিনিকলের মাড়াই কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।