বিএনপির ডাকা অবরোধের প্রথম দিনে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এই ঘটনার জের ধরে বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের কয়েকটি শেল ছুড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ সকাল সাতটার দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরব বাসস্ট্যান্ডে অবস্থায় নেন। ভৈরব-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মুসলিম মোড় নামক স্থানে দলটির আরও কিছু কর্মী–সমর্থক অবস্থান নিয়ে পিকেটিং করছিলেন। সকাল আটটার দিকে আওয়ামী লীগের কর্মী–সমর্থকেরা এসে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন। তখন উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ, পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল মিয়া, দলটির সমর্থক মো. রনি আহত হন; বিএনপির সমর্থক রাশেদ মিয়া হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
এই ঘটনার সূত্র ধরে আওয়ামী লীগের কর্মী–সমর্থকেরা ভৈরব বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। সকাল সাড়ে আটটার পর বিএনপির কর্মী–সমর্থকদের আর মহাসড়কে দেখা যায়নি। তবে বর্তমানে ভৈরব বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা অবস্থান করছেন।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ভৈরবে রাজনৈতিক নানা সংকট পার করে এসেছি। আমরা কেউ কারও দলীয় কার্যালয়ে আগ্রাসন চালাইনি। আজ সেই রেকর্ড ভাঙল। আমরা বিষয়টিকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করব।’
উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের ভাষ্য, বিএনপি ভোর থেকে চেষ্টা করেছে নাশকতা চালানোর। যানবাহন ভাঙচুর ও চোরাগুপ্তা হামলা চালানোর। তাদের কোনো অপচেষ্টা সফল হতে দেননি। শেষে নিজেরা নিজেদের কার্যালয় ভেঙে এখন আওয়ামী লীগের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। মহাসড়কের পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।