নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় স্বামীর মুঠোফোনে সাবেক প্রেমিকের পাঠানো বার্তা ও ভিডিও নিয়ে অপবাদের জেরে আত্মহত্যা করেছেন এক নববধূ। গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
এর আগে গত বুধবার বিকেলে উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নে নিজ বাড়ির পাশে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। ওই গৃহবধূ একটি কলেজের স্নাতক প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
আজ শনিবার সকালে পুলিশ নিহত গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর চাচা বাদী হয়ে স্বামীসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কলেজে পড়ার সময় এক তরুণের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই তরুণীর। গত সোমবার পারিবারিকভাবে একই গ্রামের এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। বিয়ের পর তিনি বাবার বাড়িতেই ছিলেন। এর মধ্যে স্বামীর মুঠোফোনে ওই তরুণীর সঙ্গে আদান-প্রদান করা বিভিন্ন বার্তা ও ভিডিও পাঠান কথিত প্রেমিক। এ নিয়ে স্বামী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন অপবাদ দিতে থাকেন ফাহিমাকে। স্বামী সংসার করবেন না এবং তাঁকে ঘরে নেবেন না বলে জানান।
এরপর বুধবার সন্ধ্যায় নিজ বাড়ির পাশে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই তরুণী। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে গেলে গতকাল সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।