শিক্ষার্থীদের অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে ফরিদপুরে ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলামকে পাঁচ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। পরে অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা সিরাজুল ইসলামের কার্যালয়ে ও ফটকে তালা লাগিয়ে এর সামনে অবস্থান নেন। খবর পেয়ে বিকেল চারটার দিকে পুলিশ ক্যাম্পাসে গিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে। পরে শিক্ষার্থীরা তালা খুলে দেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, ফরিদপুর শহরতলির আদমপুর এলাকায় ২০১৪ সালে ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে ৯ম ব্যাচ চলছে। অযৌক্তিকভাবে পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করে অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেন। এ ছাড়া তিনি নানা প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ, ভুয়া ভাউচার করে টাকা উত্তোলন করেছেন। অধ্যক্ষ নানা সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। প্রতিবাদ করলে হয়রানি করা হয় তাঁদের।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সামনে আমাদের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা। জেনারেটর নষ্ট হয়ে আছে। কয়েক দিন আগে জেনারেটর ঠিক করার জন্য ৪০ হাজার টাকা খরচ করা হয়েছে, কিন্তু জেনারেটর ঠিক হয়নি।’
অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, এর কোনো সত্যতা নেই। সম্প্রতি র্যাগিং করার জন্য পাঁচ ছাত্রকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়। যদিও তাঁরা শেষ পর্যন্ত হল ত্যাগ করেননি। তাঁরাই অন্য ছাত্রদের প্ররোচিত করে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। তাঁকে তাঁর কক্ষে আটকে রাখার সময় তাঁর মুঠোফোনটিও কেড়ে নেওয়া হয়। পরে পুলিশের সহায়তায় তিনি মুক্ত হন।
এদিকে খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সালাউদ্দিন ও জেলা ছাত্রলীগের নেতারা। পরে বিকেল চারটার দিকে অবরুদ্ধ অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে পুলিশ। সালাউদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। আপাতত তাঁরা আন্দোলন করবেন না। অবরুদ্ধ অধ্যক্ষকে ক্যাম্পাস থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে আলোচনা সাপেক্ষে সমস্যার সমাধান করা হবে।