চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় পরিত্যক্ত শৌচাগারের গর্ত থেকে শামসুন নাহার বেগম (২৫) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াপাড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে ওই নারীর স্বামী মোহাম্মদ বাবুলকে (৩৫) কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
নিহত শামসুন নাহার কক্সবাজার সদরের কুরুশকুল প্যাঁচারঘোনা এলাকার মৃত সৈয়দ করিমের মেয়ে। শামসুন নাহারের স্বামী মোহাম্মদ বাবুল কক্সবাজারের উখিয়ার জামতল রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের বাসিন্দা আবদুশ শুক্কুরের ছেলে। এ ঘটনায় গতকাল রাতে শামসুন নাহারের ভাগনে একরামুল হক বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় মামলা করেছেন।
পুলিশ ও নিহত নারীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ছয় বছর আগে রোহিঙ্গা যুবক বাবুলের সঙ্গে শামসুন নাহারের বিয়ে হয়। প্রায় দুই বছর ধরে সাতকানিয়ার কেঁওচিয়ার নয়াপাড়া এলাকার নুরু কলোনির ভাড়া বাসায় থাকতেন তাঁরা।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাবুল তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ চাপা দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাবুল জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে শামসুন নাহারকে হত্যা করে বাবুল বাড়ির পাশের অব্যবহৃত একটি শৌচাগারের গর্তে পুঁতে রাখেন।
পরদিন বিকেলে বাবুল তাঁর স্ত্রী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে স্ত্রীর বড় বোনের কাছে বিকাশে টাকা পাঠাতে বলেন। এতে তাঁদের মনে সন্দেহ হলে তাঁরা বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করেন। পরে গতকাল সন্ধ্যায় বাবুলকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শামসুন নাহারের লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
সাতকানিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ওই নারীর স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্ত্রীকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। আজ দুপুরে বাবুলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।