কুমিল্লার আদর্শ সদরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আজ সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। ওই সংঘর্ষে একটি মোটরসাইকেলেও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের ভাষ্য, দুই পক্ষের মারামারির সময় অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে কি না, তার কোনো তথ্যপ্রমাণ তাদের কাছে নেই। এমনকি আহত হওয়ার কোনো তথ্যও নেই।
উপজেলার দুর্গাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ধর্মপুর মোড়ে এলাকায় গতকাল রোববার বিকেলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে বর্তমানে এলাকা শান্ত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতা ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আদর্শ সদর উপজেলার দুর্গাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আবদুল হান্নান ওরফে সোহেলের সঙ্গে একই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল ইসলাম ওরফে রুবেলের দীর্ঘদিন থেকেই বিরোধ রয়েছে। গত ২১ আগস্ট বিকেলে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত গণজমায়েত ও বিক্ষোভ মিছিলে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বাদশা মিয়া। তখন ওই পথ দিয়ে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন ইউপি সদস্য আবদুল হান্নান। মিছিলে যাওয়া নিয়ে বাদশা মিয়াকে আবদুল হান্নান মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন প্রতিপক্ষরা।
ধর্মপুর এলাকায় আবদুল হান্নানের অনুসারী মো. রাসেল (৩৫) পায়ে গুলিবিদ্ধ হন বলে হান্নান দাবি করলেও কোন হাসপাতালে ভর্তি, সেটা জানা যায়নি।
এ সময় আবদুল হান্নানকে ধাওয়া করেন মিছিলে আসা অন্য নেতা-কর্মীরা। আবদুল হান্নান মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যান। পরে উত্তেজিত জনতা মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন।
এদিকে ওই সময় ধর্মপুর এলাকায় আবদুল হান্নানের অনুসারী মো. রাসেল (৩৫) পায়ে গুলিবিদ্ধ হন বলে হান্নান দাবি করলেও কোন হাসপাতালে ভর্তি, সেটা জানা যায়নি। সেখানে অস্ত্র প্রদর্শন হয়েছে বলেও এলাকাবাসী ও পুলিশ কোনো তথ্য দিতে পারেনি। এ ঘটনার জন্য দুই পক্ষ পরস্পরকে দায়ী করেন।
জানতে চাইলে আজ সন্ধ্যায় কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহিদুর রহমান বলেন, রোববারের ঘটনা নিয়ে কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ দেয়নি। আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। ঘটনার দিন অস্ত্র প্রদর্শন হয়েছে কি না, তার কোনো তথ্যপ্রমাণ পুলিশের কাছে নেই। কেউ আহত হয়েছে কি না, তা–ও পুলিশ জানে না।