বিএনপির সাবেক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী চৌধুরী তানভীর আহম্মেদ সিদ্দিকীর দুই ছেলের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ তৈরি হয়েছে। বিরোধের জেরে বড় ভাই চৌধুরী ইরাদ আহম্মেদ সিদ্দিকী মঙ্গলবার বাদী হয়ে ছোট ভাই চৌধুরী ইশরাক আহম্মেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
কালিয়াকৈর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. যোবায়ের হোসেন বলেন, ‘একটি অভিযোগ পেয়েছি। আমরা সেটি খতিয়ে দেখছি।’
অভিযোগ দেওয়ার পর নিজের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করে ইরাদ আহম্মেদ সিদ্দিকী লিখেছেন, ‘আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে গাজীপুর-১ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী ও তাঁর সহধর্মিণীকে বলিয়াদীর জমিদারবাড়ির সদর ফটকে মারধর করার জন্য এবং গাড়ি ভাঙচুর করার জন্য গাজীপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে কালিয়াকৈর থানায় মামলা করেছেন চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী।’
থানায় দেওয়া অভিযোগে ইরাদ আহম্মেদ সিদ্দিকী লিখেছেন, ‘আমার পিতা চৌধুরী তানভীর আহম্মেদ সিদ্দিকী গাজীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। বিবাদী আমার পিতার জায়গা সম্পত্তি হতে বঞ্চিত করাসহ আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমি আমার ঢাকার গুলশানের বাড়িসহ আমার পরিবারের লোকজনসহ আমি আমার বাসার আসবাব ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে গত ২২ ডিসেম্বর সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে সাতটার দিকে কালিয়াকৈর থানাধীন বলিয়াদী জমিদারবাড়িতে যাই। আমার পিতার পৈতৃক বাড়িতে গেলে চৌধুরী ইশরাক আহম্মেদ সিদ্দিকীসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে আমি (চৌধুরী ইরাদ আহম্মেদ সিদ্দিকী) আমার স্ত্রী শারমীন সিদ্দিকী (৪৭) ও আমার প্রাইভেট কার চালক রাজিবকে (৩৫) এলোপাতাড়ি কিলঘুষি, লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা জখম করে।’
অভিযোগে আরও বলা হয়, বিবাদীরা তাঁর (ইরাদ) প্রাইভেট কারের পেছনের অংশে বাড়ি দিয়ে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি করেছেন। তাঁদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে এ ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করার চেষ্টা করলে বিবাদীরা তাঁদের হত্যার হুমকি দেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চৌধুরী ইশরাক আহম্মেদ সিদ্দিকী বলেন, ‘এটার বিষয়ে আমার বলার কিছু নেই। লোকাল যারা আছে, তাদের জিজ্ঞেস করেন। আমার কিছু বলার নেই। আমি ওখানে ছিলাম, তাই এ বিষয়ে কিছু জানি না। আপনি লোকালদের কাছ থেকে শোনেন।’