সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুই কর্মচারীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বহিষ্কৃত দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এমন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক সৌমিত্র চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, আজ রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক এ বি এম আবু হানিফ স্বাক্ষরিত এক আদেশে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মো. রওশন হাবিব ও নিরাপত্তা প্রহরী আবদুল জব্বারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত থাকাকালে বিধি অনুযায়ী তাঁরা খরপোষ ভাতা পাবেন।
হাসপাতাল-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বহিষ্কৃত দুজনের বিরুদ্ধে হাসপাতালের সাবেক পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. ইসলাম উদ্দিনকে আঘাতের চেষ্টা, নতুন মেডিকেল কলোনি ক্যাম্পাসে অবৈধ স্থাপনা তৈরি, ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ দোকান ও অ্যাম্বুলেন্স রাখার অবৈধ স্থান ও বহির্বিভাগ থেকে অবৈধভাবে টাকা আদায়, নারীদের যৌন নির্যাতন, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে হাসপাতালে গঠিত একটি তদন্ত কমিটি। এর আগে তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়মসংক্রান্ত একটি অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ওসমানী হাসপাতালের দুজন কর্মচারীকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর ৩ (খ) ও ৩ (ঘ) বিধি মোতাবেক ‘অসদাচরণ ও দুর্নীতির’ দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। কেন তাঁদের এই বিধিমালার আলোকে যথোপযুক্ত দণ্ড দেওয়া যাবে না, তা আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে পরিচালক বরাবর কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অভিযুক্ত ব্যক্তিরা কোনো ব্যক্তিগত শুনানি চান কি না, তা-ও জানাতে বলা হয়েছে।
এদিকে সাময়িক বহিষ্কৃত রওশন হাবিব, আবদুল জব্বারসহ ওসমানী হাসপাতালের আটজনের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বুধবার সিলেটে দুদক একটি মামলা করেছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী কানন আলম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এর আগে তাঁর মক্কেল হাসপাতালের সাবেক পরিচ্ছন্নতাকর্মী মো. ইসলাম উদ্দিন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিলেন রওশন, জব্বারসহ আটজনের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগেরই সত্যতা পেয়ে মামলা করেছে দুদক।