দলের নাম ভাঙিয়ে উত্তরা বীজ হিমাগার দখলের প্রতিবাদে নীলফামারী জেলা যুবদলের সংবাদ সম্মেলন। সোমবার দুপুরে
দলের নাম ভাঙিয়ে উত্তরা বীজ হিমাগার দখলের প্রতিবাদে নীলফামারী জেলা যুবদলের সংবাদ সম্মেলন। সোমবার দুপুরে

সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে হিমাগার দখল, নীলফামারী জেলা যুবদলের সংবাদ সম্মেলন

নীলফামারীতে যুবদলের নাম ভাঙিয়ে উত্তরা বীজ হিমাগার দখল ও কৃষকের আলু লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে নীলফামারী জেলা যুবদল। আজ সোমবার দুপুরে শহরের ডাকবাংলো সড়কে যুবদলের এক নেতার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।

নীলফামারী সদর উপজেলার টুপামারী ইউনিয়নের দোগাছি গ্রামে উত্তরা বীজ হিমাগারের অবস্থান। হিমাগারটির মালিক জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষে জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বক্তব্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জেলা যুবদলের সভাপতি মো. সাইফুল্লাহ রুবেল, সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. শাহ আলম ও তাঁর (জাহাঙ্গীর আলম) নাম ভাঙিয়ে উত্তরা বীজ হিমাগার দখল এবং ১ কোটি ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করার মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন মো. আবদুল্লাহ আল মামুন নামের এক ব্যক্তি। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর আবদুল্লাহ আল মামুন নিজেই হিমাগারটি দখল করেন এবং কর্মচারীদের বলেন, আজ থেকে তিনি এই হিমাগারের মালিক। তাঁরা পরদিন ৬ আগস্ট ঘটনাস্থলে গেলে যুবদলের নাম ভাঙিয়ে হিমাগার দখলের সত্যতা পান।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আবদুল্লাহ আল মামুন যুবদলের কেউ নন। এমনকি বিএনপির কোনো সংগঠনেই তাঁর নাম নেই। অথচ তিনি বিএনপির নাম ভাঙিয়ে এসব অপকর্ম করছেন। তাতে দলের ও দলের নেতা-কর্মীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। আমরা হিমাগারের মালিকের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, শুরুর দিকে আবদুল্লাহ আল মামুন ওই হিমাগারের অংশীদার ছিলেন। কিন্তু ২০২০ সালে তাঁর অংশ শাহিদ মাহমুদের কাছে বিক্রির মাধ্যমে তাঁর অংশীদারত্ব প্রত্যাহার করে নেন। এখন ওই হিমাগারে একক মালিকানা শাহিদ মাহমুদের।’

জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, ‘আবদুল্লাহ আল মামুন কৃষকের আলু লুট করছেন। তাতে কৃষকেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কৃষকেরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে বিষয়ে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শামীম শাহ আলম, সদস্যসচিব রাশেদ রেজা উদ দৌলা, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মো. হাসানুজ্জামান, সদস্যসচিব আবু সাইদ, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে হিমাগারের মালিক ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিদ মাহমুদ বলেন, ‘আমি আমার মায়ের অসুস্থতার কারণে নীলফামারীর বাইরে অবস্থান করছি। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে আবদুল্লাহ আল মামুন সেখানে বলপ্রয়োগ করে আমার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন এবং কৃষকদের রাখা আলুর ভাড়ার টাকা তুলছেন। আমি ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি এবং বলেছি, ভাড়ার টাকা যেন ব্যাংকে জমা করা হয়। বিষয়টি লিখিতভাবে প্রশাসনকে জানানোর প্রস্তুতি চলছে।’

অভিযোগের ব্যাপারে কথা বলতে আবদুল্লাহ আল মামুনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।